ছাতুতে আমের স্বাদ! কী ভাবে তৈরি করবেন এমন পানীয়? ছবি: সংগৃহীত।
সকালের তাড়াহুড়ো? ধীরেসুস্থে খাওয়ার সময় নেই? এক গ্লাস ছাতুর শরবতই হতে পারে সমাধান। প্রোটিনে ভরপুর পানীয়টি চট করে খেয়ে নেওয়া যায়। তা যেমন পেট ভরিয়ে রাখে, তেমনই শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি জোগায়। তা ছাড়া গরমের দিনে এক গ্লাস ঠান্ডা ছাতুর শরবত শুধু তেষ্টা মেটায় না, শরীরের জলাভাবও দূর করে। ছাতুর রসে একটু পাতিলেবুর রস যোগ করলে, মেলে ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক। কিন্তু একই উপায়ে প্রতিদিন ছাতু বানালে কি খেতে ভাল লাগে? তার চেয়ে ছাতুর শরবত করে তুলুন গরমের উপযোগী।
আম-ছাতুর শরবত: গরম মানেই পাকা আমের মরসুম। রসালো ফলটি শুধু স্বাদেই দারুণ নয়, পুষ্টিগুণেও যে কোনও ফলকে টেক্কা দিতে পারে। ছাতুর শরবত তৈরির সময় আমের শাঁসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন ২-৩ টেবিল চামচ ছাতু। তার সঙ্গে স্বাদ মতো সৈন্ধব নুন, গোলমরিচ, ভাজা জিরে গুঁড়ো আর সামান্য বরফ কুচি দিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। প্রয়োজনে একটু জলও দিতে পারেন। তা হলেই তৈরি হয়ে যাবে আম দিয়ে ছাতুর শরবত।
ছাতুর লস্যি: টক দই যোগে ছাতু দিয়ে লস্যিও হতে পারে। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে এই পানীয় আদর্শ। টক দই প্রোবায়োটিকের জোগান দিয়ে অন্ত্রে ভাল ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এক কাপ টক দইয়ের সঙ্গে ২-৩ টেবিল চামচ ছাতু যোগ করুন। স্বাদের জন্য সামান্য সৈন্ধব নুন দিন। মিষ্টির জন্য গুড়। আধ কাপ জল দিয়ে সমস্ত উপকরণ গুলে নিন। তা হলেই তৈরি হয়ে যাবে ছাতুর লস্যি।
ছাতুর স্মুদি: প্রোটিনে ভরপুর ছাতুতে ভিটামিন এবং খনিজের মাত্রা বৃদ্ধিতে যোগ করতে পারেন পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা, শসাও। ছাতু এবং পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা, শসা দিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। স্বাদ মতো নুন দিন। এক চামচ পাতিলেবুর রস যোগ করুন। খেতে বেশ অন্য রকম লাগবে।