নতুন বছরে কী ভাবে শিশুর ঘর সাজাবেন? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
নতুন বছরে নিশ্চয়ই মনের মতো করে ঘর সাজাবেন। আপনার পরিবারে যদি খুদে সদস্য থাকে, তা হলে তার ঘরটি হতে হবে একেবারে অন্যরকম। শিশুর মনের মতো করে সাজিয়ে ফেলুন ঘর। সে ক্ষেত্রে যতই আপনার নিজের পছন্দ থাকুক না কেন, খুদে সদস্যটির ইচ্ছেকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। ঘরের অন্দরসজ্জা, তার জিনিসপত্র, দেওয়ালের রং— সব কিছুরই প্রভাব পড়ে শিশুর মনের উপরে।
শিশুর ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে প্রথমেই নজর দিতে হবে তার বয়সের উপর। খুদের বয়সের উপর ভিত্তি করে সাজান তার ঘর। প্রাথমিক ভাবে যেগুলো মাথায় রাখতে হবে, তা হল ঘরের রং, বিছানা-সহ অন্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র যা ঘরটিকে করে তুলবে অনন্য।
শিশুর ঘর কী ভাবে সাজাবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
দেওয়ালের রং এ ক্ষএত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের ঘরে হালকা রং থাকলেও, শিশুর ঘরের রং হতে হবে উজ্জ্বল। তাই রংচঙে, উজ্জ্বল এবং কোনও বিশেষ থিম অনুযায়ী রঙের প্যাটার্ন দিয়ে দেওয়াল রং করতে পারেন। অথবা একটি দেওয়ালে গাঢ় রং করে, বাকি তিন দেওয়ালে ওই রঙেরই কোনও হালকা শেড দিতে পারেন।
ঘরের মেঝের পরিসর বড় হওয়াই জরুরি। যত্রতত্র জিনিস ছড়িয়ে রাখা নয়, বরং বড় মেঝেয় তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো খেলে বেড়াতে পারবে। তাই ঘরের দরকারি আসবাব যাতে দেওয়ালে ফিট করা যায়, তা দেখতে হবে। ঘরের একটি কোনায় রেখে দিন একটি টেবিল। টেবিলের উপরের দিকে একটি তাকের ব্যবস্থা করুন। যেখানে শিশুর বইপত্র রাখার ব্যবস্থা থাকতে পারে। টেবিলে কম্পিউটার রাখতে পারেন। রাখতে পারেন কিছু বই, একটি কলমদানি। পাশে একটি ছোট গাছের চারাও রেখে দিতে পারেন। দেওয়ালে সামান্য মৃদু স্নিগ্ধ আলোর বিন্যাসও রাখতে পারেন আপনি।
ঘরের মধ্যে অন্য এক কোনায় রাখতে পারেন আলমারি। আলমারিতে সেঁটে দিতে পারেন কিছু পছন্দসই স্টিকার। দু’টি দেওয়ালের মাঝের কোণে সুদৃশ্য তাক রাখলে ঘর দেখতে সুন্দর লাগবে। একই সঙ্গে দরকারি জিনিস সেই তাকে তুলে রাখা যাবে।
ঘরের ছাদটিকেই করে তুলুন এক টুকরো আকাশ। দোকানে অনেক ধরনের গ্লো স্টিকার পাওয়া যায়। চাঁদ, তারা, নক্ষত্রের সেই স্টিকার লাগিয়ে রাখুন ঘরের সিলিংয়ে। শিশুর খুবই মনে ধরবে। শিশুর ঘরের আলো যেন যথেষ্ট পরিমাণে খেলা করতে পারে। অর্থাৎ নিজের খেয়ালে সে যখনই ঘরের যে কোনও কোণে বই নিয়ে বসে পড়বে, সেখানে আলোর অভাব যেন না হয়।