খুব বেশি যত্ন না করলেও বারান্দার বাগানে বেড়ে উঠতে পারে অ্যালো ভেরা গাছ। ছবি: শাটারস্টক।
রূপচর্চায় অ্যালো ভেরার ভূমিকা অনস্বীকার্য। ত্বক এবং চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে এই ভেষজের উপর ভরসা করাই যায়। শুষ্ক ত্বক, ফাটা গোড়ালি, খুশকি থেকে মেদ ঝরানো— সবেতেই ঘৃতকুমারীর ব্যবহার রয়েছে। কাটাছেঁড়া, পোড়াতেও চটজলদি উপকার মেলে। সেই কারণে অনেকেই অ্যালো ভেরা গাছ বাড়িতে রাখতে চান। তবে অ্যালো ভেরা গাছ বাড়িতে বড় করতে হলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। তা না হলে অ্যালো ভেরা তরতরিয়ে বড় হবে না। কোন বিষয়গুলিতে বাড়তি নজর দেবেন?
চওড়া টব: অ্যালো ভেরার শিকড় খুব গভীরে যায় না। ফলে লম্বাটে টবের দরকার নেই। বড় পাতাগুলি যদি সুবিধামতো নিজেদের মেলে ধরতে পারে, তার জন্য বড় মুখের টবে গাছ পুঁততে পারেন। এ ক্ষেত্রে মাটির কিংবা টেরাকোটার টব ভাল বিকল্প হতে পারে। ২-৩ বছর অন্তর অন্তর টব আর মাটি দুই-ই বদলাতে হবে।
রোদ: অ্যালো ভেরা গাছের বেড়ে ওঠার পথে রোদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পর্যাপ্ত রোদ আসে এমন জায়গায় গাছ রাখুন। রোদ না পেলে গাছ বড় হতে পারবে না। তবে খুব বেশি চড়া রোদে ফেলে রাখলেও আবার গাছটি নষ্ট হয়ে যাবে, তাই সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।
পরিমাণমতো জল: জল ছাড়া গাছ বাঁচে না। তবে বেশি জল ঢাললে আবার অ্যালো ভেরা মরে যেতে পারে। এক বার জল দেওয়ার পর অপেক্ষা করতে হবে। গাছের পাতা এবং মাটি শুকিয়ে গেলে তার পর জল দিন। এই গাছে রোজ জল না দিলেও চলে, মাটির উপরিভাগ খুব বেশি শুকিয়ে গেলে জলের প্রয়োজন পড়ে।
পাতা ছাঁটা: ডগা ছাঁটলে লম্বা হয় চুল। একই নিয়ম বর্তায় অ্যালো ভেরা গাছের ক্ষেত্রেও। গাছের ছোট ছোট পাতা ছেঁটে ফেললে দ্রুত আড়ে-বহরে বেড়ে উঠবে।
সঠিক তাপমাত্রা: অ্যালো ভেরা গাছে রোদ প্রয়োজন। তবে প্রবল তাপে আবার গাছ মরে যেতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে, গাছের পাতা হলদেটে হয়ে যাচ্ছে কি না। যদি তেমনটা হয়ে থাকে তা হলে চড়া রোদে গাছ রাখা যাবে না। ১৫ থেকে ২৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এই গাছের বৃদ্ধি ভাল হয়।