শাওয়ার পরিষ্কারের সহজ কৌশল। ছবি: সংগৃহীত।
স্নানঘরের বেসিন, কমোড নিয়মিত পরিষ্কার হলেও, বাদ পড়ে যায় শাওয়ারটি। অনেকেরই ধারণা, তা নিয়ম করে পরিষ্কারের দরকার নেই। মাঝেমধ্যে একবার করলেই হল। তবে সেটা যে কতখানি ভুল, তা প্রমাণ হতে পারে শাওয়ারের নীচে দাঁড়ালেই। নিয়ম করে পরিষ্কার না করলে এক মাসেই জলের গতি কমে যেতে পারে। দেখা যাবে, যে শাওয়ারের মুখ দিয়ে বৃষ্টির মতো জল পড়ত, সেই গতি কমে গিয়েছে এবং সমস্ত ছিদ্র দিয়ে জল পড়ছেও না। বিশেষ করে নিয়মিত শাওয়ার ব্যবহার না হলে, এই সমস্যা হয় আরও বেশি।
সে কারণে, যাঁরা স্নানঘর পরিষ্কারের কাজ করেন তাঁরা মনে করেন, বেসিন, কমোডের মতো এটিও সপ্তাহে একবার পরিষ্কার করা দরকার। সাধারণত, জলে থাকা খনিজ, ময়লা, মরচে জমে শাওয়ারের জল বেরোনোর ছিদ্রপথগুলি বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। অপরিচ্ছন্ন জল গায়ে লাগলে চর্মরোগের আশঙ্কাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
হালকা ভাবে পরিষ্কার: সপ্তাহে একদিন ওয়াইপস বা গায়ে মাখার সাবান জলে গুলে ভিজে কাপড় দিয়ে শাওয়ার হেড পরিষ্কার করে দেওয়া যায়। ছিদ্রমুখ বন্ধ হয়ে গেলে সেফটিপিন দিয়েও সাবধানে পরিষ্কার করা যাওয়া।
ভাল ভাবে পরিষ্কার: মাসে একদিন সেটি ভাল করে পরিষ্কার করা দরকার। বাজারচলতি রাসায়নিক ব্যবহার না করেও কাজটি সারা যায়। এ জন্য দরকার সাদা ভিনিগার। একটু মোটা প্লাস্টিক ব্যাগ জল এবং সাদা ভিনিগার মিশিয়ে শাওয়ার হেডটি তার মধ্যে ভরে দিয়ে রাবার ব্যান্ডের সাহায্যে ৭-১০ মিনিট আটকে রাখুন। ভিনিগারে থাকা অ্যাসিডজাতীয় উপাদানের প্রভাবে ময়লা জমে বন্ধ হওয়া ছিদ্রমুখ পরিষ্কার হবে। চকচকে ভাবও ফিরে আসবে। ভিনিগার ব্যবহারের পর পরিষ্কার জল দিয়ে শাওয়ারটি পরিষ্কার করে নিতে হবে।