হেঁশেলে থাক সবুজের ছোঁয়া। কিন্তু কী ভাবে, কোথায় গাছ রাখলে সুবিধা হবে? ছবি: সংগৃহীত।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে হেঁশেলের অন্দরসজ্জা। অন্ধকার, কালচে, তেলকালি পড়ে যাওয়া দেওয়াল নয়, বরং রান্নাঘরে এখন থাকে টাইলস এবং সুন্দর পাথুরে মেঝের বাহার। ক্যাবিনেটগুলিও বাসন, রান্নার জিনিস রাখার জন্য বিশেষ কায়দায় তৈরি করা হয়। সেই হেঁশেলের সাজসজ্জাও যে একটু আলাদা হবে, সেটাই তো স্বাভাবিক!
দিনে দিনে যখন সবুজের পরিমাণ কমছে, তখন অনেকেই বসার ঘর থেকে বাড়ির সিঁড়ি, স্নানঘর এবং রান্নাঘরেও সবুজের ছোঁয়া রাখতে চাইছেন। গাছ যেমন চোখের আরাম দেয়, তেমনই বাতাসও শুদ্ধ করে। তবে রান্নাঘরে গাছ রাখতে হলে, কোন গাছ বেছে নেবেন এবং তা কোথায় লাগানো ভাল?
জানলার কাছে: রান্নাঘরে বড় একটি জানলা থাকলে, সেখানে রাখতে পারেন সব্জির গাছ। পুদিনা, ধনেপাতা, কাঁচালঙ্কা, চিয়া মাইক্রোগ্রিনস— এই ধরনের গাছগুলি থাকলে বেশ সুবিধা হতে পারে। বড় একটি বাস্কেট নিয়ে খোপ খোপ করে রকমারি সব্জি চাষ করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখা দরকার হেঁশেলে যেন আলো-হাওয়া আসে। না হলে এই গাছ বাঁচবে না।
ক্যাবিনেটের মাথায়: ইংলিশ আইভি, মানিপ্ল্যান্ট-সহ কিছু লতানে গাছ রাখতে পারেন ক্যাবিনেটের মাথায়। সেখানে গাছ থাকলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে গাছের ডালপালা ছেঁটে, কেটে সেটিকে রান্নাঘরের সঙ্গে মানানসই করে তুলতে হবে। লতানে গাছের বাহারি পাতা উঁচু জায়গা থেকে নেমে এলে দেখতে মন্দ লাগবে না।
দেওয়ালের তাকে: যদি দেয়ালে ছোট তাক তৈরি করা যায়, সেখানে ছোট সাকিউলেন্ট বা বাতাস বিশুদ্ধকারী গাছ যেমন পিস লিলি বা ছোট মানি প্ল্যান্ট রাখুন। হেঁশেলে যদি আলো-হাওয়ার অভাব থাকে, তা হলে গাছ ঠিকমতো বেড়ে উঠবে না। বরং হালকা রোদ-হাওয়া আসে এমন জায়গায় মাঝেমধ্যে গাছগুলি নিয়ে গিয়ে রেখে দিন।
ফ্রিজের মাথায়: ফ্রিজের মাথায় ব্যাম্বু, মানি প্ল্যান্ট, পোথোস—এমন ধরনের বাহারি গাছ রাখলেও দেখতে ভাল লাগবে। রাখতে পারেন পিস লিলি, স্নেক প্ল্যান্টের মতো গাছও।
হেঁশেলে গাছ রাখলেও আগুনের খুব কাছে তা রাখা ঠিক নয়। রান্নাঘরের সব অংশেই যে আলো-হাওয়া আসবে এমন নয়। তা ছাড়া, বাষ্পীভূত তেলমশলাও পাতার উপর ছোপ ফেলতে পারে। তাই মাঝে মধ্যে গাছের পাতা পরিষ্কার করতে হবে। হালকা রোদে সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন রাখার চেষ্টা করুন।