ছবি : সংগৃহীত।
বাজারে এ শাকের দর নেহাত কম নয়। তার কারণও আছে। নানা খনিজ আর ভিটামিনে ভরপুর মেথি শাক স্বাস্থ্যের পক্ষে যেমন উপকারী তেমনই স্বাদেও এগিয়ে। টাটকা হোক বা রোদে শুকোনো— মেথি শাক বা কসুরি মেথি সারা বছরই খাবারে সুগন্ধ ছড়াতে ব্যবহার হয়ে থাকে। শীতকালে টাটকা মেথি শাক হাতের কাছে পেলে তা দিয়ে মেথির পরোটা, মেথি দেওয়া ডাল বা মেথি চিকেনও বানান কেউ কেউ। এ হেন মেথি শাক চাইলে হাতের নাগালে বাড়ির বারান্দাতেও ফলিয়ে নিতে পারেন।
১। মেথির শিকড় নীচের দিকে যত না বাড়ে তার থেকে বেশি বাড়ে পাশে। তাই টবের গভীরতা ৬-৮ ইঞ্চি হলেই চলবে। কিন্তু সাধারণ টব না নিয়ে বেশ খানিকটা চওড়া আয়তাকার টব বেছে নেওয়া ভাল।
২। টব থেকে জল বেরোনোর যেন সুযোগ থাকে। কারণ জল জমলে বীজ পচে যেতে পারে।
৩। মাটি হবে ঝরঝরে। যাতে ভিতরে হাওয়া চলাচল করতে পারে। গার্ডেন সয়েল-এর সঙ্গে জৈব সার মিশিয়ে তার সঙ্গে কোকোপিট অথবা সামান্য বালি ব্যবহার করতে পারেন। তাতে মাটিতে হাওয়া চলাচল করবে ভাল।
৪। মেথির বীজ মাটিতে ছড়ানোর আগে ৬-৮ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। তাতে অঙ্কুরিত হওয়ার সুযোগ বাড়বে।
৫। বীজ একটি একটি করে না পুঁতে হালকা ভাবে মাটিতে ছড়িয়ে দিন। তার পর হাতের আলতো চাপে মাটিতে বসিয়ে দিন। খুব বেশি গভীরে বসাবেন না। বীজের উপরে মাটির পাতলা একটি স্তর থাকাই এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট।
৬। বীজ বপনের পর অল্প অল্প করে জল ছড়িয়ে দিন। বেশি জল দিলে বীজ সরে যেতে পারে। তবে জল মাঝে মধ্যেই দিতে হবে। অন্তত প্রথম সপ্তাহে যাতে সারা দিন মাটি ভেজা থাকে, তার ব্যবস্থা করতে হবে।
৭। বারান্দায় মেথি শাক হওয়ার জন্য সবচেয়ে জরুরি হল সূর্যের আলো। মেথি শাক ভাল ভাবে বাড়তে হলে ৪-৬ ঘণ্টা সরাসরি রোদে রাখতে হবে। সেই বুঝেই জায়গা বাছুন। বাড়ির ছাদেও রাখতে পারেন বা এমন কোনও জায়গায় যেখানে দিনে অন্তত ৪ ঘণ্টা সূর্যের আলো আসে।