পুজোর ফুল দিয়ে তৈরি করুন সার। ছবি: সংগৃহীত।
পুজো হয়ে যাওয়ার পরে শুকনো ফুল কেউ ফেলে দেন নদীতে, কেউ পুকুরে। এতে দূষণ বাড়ে। তার চেয়ে বরং সেই ফুলই কাজে লাগাতে পারেন অন্য ভাবে। শুকনো ফুলই ফলন বৃদ্ধি করতে পারে শখের বাগানের। কলাপাতা থেকে ফুল দিয়েই তৈরি করা যায় জৈব সার। এতে প্রকৃতিও বাঁচবে, আবার বাগানের জন্য সার কেনার খরচও কমবে।
পদ্ধতি
প্রথমেই পুজোর উপকরণের মধ্যে থেকে জৈব জিনিস আলাদা করে নিন। প্লাস্টিক বা ফয়েল কিন্তু মাটিতে মেশে না। প্রথমেই ফুল, দুর্বা, কলাপাতা আলাদা করে নিতে হবে। খেয়াল রাখা দরকার এতে দেশলাই বাক্স, প্লাস্টিকের অংশ যেন মিশে না যায়।
দ্বিতীয় ধাপে ফুল, পাতা পচানোর পাত্র দরকার। বাড়ির বাগান বা ফ্ল্যাটের বারান্দায় সেটি রাখতে পারেন। জৈব সার তৈরির জন্য বিশেষ ধরনের পাত্র পাওয়া যায়। সেগুলিতে দুর্গন্ধ হয় না। রয়েছে ভার্মিকম্পোস্ট পন্থাও। এই পন্থায় কেঁচো বা বিভিন্ন কীট পচনশীল জৈব পদার্থকে ভেঙে ভার্মিকম্পোস্ট বা সার-এ রূপান্তরিত করে।
সারের উপকরণে ভারসাম্য
বিভিন্ন রকম ফুল, পাতা, রান্না করা খাবার সবুজ উপাদানের মধ্যে পড়ে। এগুলি থেকে মেলে নাইট্রোজেন।
বাদামি উপাদানের মধ্যে থাকে শুকনো কলার খোসা, নারকেলের খোল, শুকনো পাতা, কাগজ।এতে মেলে কার্বন।
শুকনো গাঁদা ফুলের মালার সঙ্গে কলার খোসা এবং নারকেলের খোল যোগ করে তা শুকিয়ে এবং পচিয়ে সার তৈরি করলে, তার গুণমান ভাল হবে। এতে গাছের বেড়ে ওঠার জন্য নাইট্রোজেন এবং কার্বন দুই-ই মিলবে।
সার তৈরির নিয়ম
• কলার খোসা, নারকেলের খোল ছোট ছোট টুকরো করে নিতে হবে।
• সবুজ এবং বাদামি বর্জ্য পরিবেশ বান্ধব অনুজীব তৈরিতে সাহায্য করে।
• এর সঙ্গে নিম খোল বা গোবর যোগ করলে সারের গুণমান বৃদ্ধি পাবে।
• পচনশীল পদার্থে আর্দ্রতা থাকা দরকার, তবে জল জমলে হিতে বিপরীত হবে।
• সার তৈরি হতে ৭-৮ সপ্তাহ সময় লাগে। তা কালচে বাদামি বর্ণে পরিণত হলে এবং মাটির মতো গন্ধ বরোলে বুঝতে হবে সার তৈরি হয়ে গিয়েছে।