ছবি : সংগৃহীত।
পুজোর আগে বিছানার চাদর থেকে শুরু করে পর্দা, বেড কভার, টেবিল ক্লথ সবই বদলানো হয়। ধোপদুরস্ত চাদর-পর্দা দিয়ে সাজানোর পরে ঘর দেখতে ভাল লাগে, এটা যেমন ঠিক, তেমনই এ-ও ঠিক যে পুরনো চাদর, পর্দা ইত্যাদি কাচতে নাজেহাল দশা হয় অনেকেরই। অনেকেই বাড়িতে ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করেন। কিন্তু সব সময় ভারী চাদর ওয়াশিং মেশিনেও কাচা যায় না। সে ক্ষেত্রে ভারী চাদর, পর্দা ইত্যাদি কাচাকাচির সময় কী কী বিষয় খেয়াল রাখলে কাজটি সহজ হবে, জেনে নিন।
১. ধোয়ার আগে প্রস্তুতি
ঝাঁকিয়ে নিন: কাচার আগে চাদর বা পর্দা ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন যাতে তাতে জমে থাকা আলগা ধুলো ঝরে যায়। এতে কাচার সময় কম পরিশ্রম হবে।
দাগের দিকে নজর দিন: যদি কোনও দাগ থাকে, তাহলে ধোয়ার আগে সামান্য ডিটারজেন্ট দিয়ে সেই অংশটি হালকা করে ঘষে নিন। এতে পরে ঘষাঘষি করার পরিশ্রম বাঁচবে।
২. ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করুন
ক্ষমতা কতটা: আগে বুঝে নিন ওয়াশিং মেশিনের ক্ষমতা চাদরটির ওজন নেওয়ার জন্য যথেষ্ট কি না। একটি বড় এবং ভারী চাদর ছোট মেশিনে দিলে মেশিন নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং চাদরও ভালোভাবে পরিষ্কার হবে না।
ঠান্ডা জলে কাচুন: গরম জলের পরিবর্তে ঠান্ডা বা হালকা গরম জল ব্যবহার করুন। এতে চাদর কুঁচকে যাবে না।
হালকা ডিটারজেন্ট: পরিমাণ মতো হালকা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে তা ভালোভাবে পরিষ্কার নাও হতে পারে এবং চাদরে আটকে থাকতে পারে।
এক্সট্রা রিন্স : যদি সম্ভব হয়, তাহলে বাড়তি ধোয়া বা এক্সট্রা রিন্স বাটনটি ব্যবহার করুন। এতে চাদর থেকে ডিটারজেন্ট পুরোপুরি বেরিয়ে যাবে।
৩. হাতে কাচতে হলে
বড় বালতি বা টাব ব্যবহার করুন: একটি বড় বালতি বা বাথটাবের মধ্যে চাদরটি ডুবিয়ে রাখুন। এতে ধুলো নরম হয়ে যাবে এবং সহজেই উঠে যাবে।
পায়ের সাহায্য নিন: চাদর পরিষ্কার করার জন্য হাত দিয়ে ঘষাঘষির পরিবর্তে পা ব্যবহার করতে পারেন। এতে পরিশ্রম অনেক কম হবে।
৪. শুকানোর নিয়ম
ভালো করে জল ঝরান: যদি মেশিনে কাচেন, তাহলে ভালো করে স্পিন করে জল ঝরিয়ে নিন। এতে চাদর দ্রুত শুকিয়ে যাবে।
একটি দড়িতে মেলবেন না: যদি রোদে চাদর শুকোতে হয়, তবে একটি দড়ি ব্যবহার না করে একাধিক দড়িতে ছড়িয়ে দিন। এতে চাদরের সর্বত্র বাতাস চলাচল করবে, দ্রুত শুকোবে এবং ভিতরের অংশে স্যাঁতসেঁতে ভাব থাকবে না।