বাগান ভরবে গাঁদা ফুলে, কিন্তু গাছ কী ভাবে বড় করবেন? ছবি: সংগৃহীত।
শীত মানেই হরেক ফুলের মেলা। সেই ফুলের ভিড়ে উজ্জ্বল হয়ে থাকে হলুদ-কমলা গাঁদা। শীত আসার শুরু থেকেই চারা রোপণ পর্ব শুরু হয়। কিন্তু শুধু গাছ বসালেই হল না, তার সঠিক পরিচর্যাও জরুরি। গাছ বেড়ে ওঠার শর্তের কোনও একটির অভাব হলেই, কাঙ্খিত ফুল মিলবে না।
প্রচুর পরিমাণে গাঁদা ফুল পেতে হলে দুটি জিনিসের উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে— পিঞ্চিং অর্থাৎ সঠিক কৌশল, ডালপালা ছাঁটা এবং ফসফরাসের আধিক্যযুক্ত সার। আর দরকার পর্যাপ্ত রোদ।
• গাঁদা গাছের জন্য অন্তত ছয় ঘণ্টা সূর্যালোকের প্রয়োজন হয়। তবে এই গাছের জন্য শুরুতেই মাটি প্রস্তুত করা দরকার। জৈব সার বা ভার্মি কম্পোস্ট গাছের জন্য ভাল। আর একটি বিষয় খেয়াল রাখা দরকার, যেন জল দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা টবের ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে। গাছের গোড়ায় জল জমলে, শিকড় নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
• যত বেশি ডালপালা, তত বেশি ফুল। তবে ডালপালা সঠিক কৌশলে ছাঁটতে হবে। ফুল বেশি পেতে চাইলে, গাঁদার আকার ছোট হতে পারে। আবার গাঁদার আকার বড় করতে গেলে বেশি ফুলের বদলে কম ফুলেই নজর দেওয়া দরকার। সেই হিসাবে কুঁড়ি এবং কাণ্ড ছাঁটতে হবে। শুকনো ফুল বৃন্ত সহ কেটে দিতে হবে।
• নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম গাঁদা গাছের বৃদ্ধিতে সহায়ক। জরুরি পুষ্টি মাটি থেকে না মিললে সার প্রয়োগের দরকার হয়। সার হল গাছের খাবার। সর্ষের খোল ভেজানো জল এই গাছের জন্য অত্যন্ত ভাল তরল সার। এক মুঠো সর্ষের খোল ১ লিটার জলে ৪-৫ দিন ভিজিয়ে রাখুন। ব্যবহারের সময় সেই জল আরও ১০ গুণ সাধারণ জলের সঙ্গে মিশিয়ে গাছের গোড়ায় দিন। কুঁড়ি আসা শুরু না হওয়া পর্যন্ত প্রতি ১০-১৫ দিন অন্তর ব্যবহার করতে পারেন। চারা লাগানোর সময়েই গোবর সার প্রয়োগ করা যেতে পারে।
• গাঁদা গাছে পোকার আক্রমণ হলে নিম তেলের সঙ্গে জল বা সাবান জল স্প্রে করতে হবে। অসময়ে বৃষ্টি হলে মিলিবাগের আক্রমণ হতে পারে। সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা দরকার।