সাকুলেন্ট আনার আগে জেনে নিন কী এর বিশেষত্ব, কী ভাবেই বা গাছ বড় করবেন? ছবি: সংগৃহীত।
গোলাপ, জবা, জিনিয়ার পাশাপাশি চর্চা সাকুলেন্ট নিয়েও। বাহারি পাথুরে গাছই বদলে দিতে পারে অন্দরের শোভা। বাগানে রাখলে বদলে যায় সেখানকার রূপও। এ বার বাড়িতে নিয়ে আসুন সাকুলেন্ট।
সাকুলেন্ট বসানো ঝক্কির কাজ নয়। অল্প যত্ন-আত্তিতেই এই ধরনের গাছ ভাল থাকে। মরুভূমি বা পাহাড়ি অঞ্চলের গাছ হলেও সমতল এলাকাতেও দিব্যি বাঁচতে পারে। পাতা, কাণ্ড বা মূলে অসময়ের জন্য সঞ্চয় করা থাকে জল। পাতার নানা বিচিত্র আকার এবং অপূর্ব বিন্যাসের জন্য বেশ জনপ্রিয় এই ধরনের গাছ।
সাকুলেন্টের বিশেষত্ব
· স্বল্প যত্নে বেড়ে ওঠে।
· পাতার বিন্যাস সুন্দর, দেখতেও ভাল লাগে।
· টেবিল, ছোট বারান্দা এমনকি কাচের পাত্র বা টেরারিয়ামেও তা বেশ মানিয়ে যায়।
· বেশ কিছু গাছ অন্দরের বাতাস পরিশোধনে সাহায্য করে।
· সঠিক ভাবে রাখতে পারলে অনেক বছর বাঁচে।
ঘর এবং বাইরের জন্য কোন ধরনের গাছ বাছাই করবেন?
অ্যালো ভেরা, হাওরথিয়া, জ়েড প্ল্যান্ট, স্নেক প্ল্যান্ট অন্দরসজ্জার জন্য ভাল। বারান্দার জন্য বেছে নিতে পারেন একেভেরিয়া, সেদাম, এগেভ। ডাঙ্কিজ় টেল, স্ট্রিং অব পার্লস, নানা রকম ক্র্যাসুলা, লিথপের মতো সাকুলেন্টও বেছে নিতে পারেন। এ ছাড়া, অনেক প্রজাতির গাছে ছোট ছোট রঙিন ফুলও হয়।
সাকুলেন্ট বসানো থেকে পরিচর্যার নিয়মকানুন
টব: টব ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গাছের গোড়ায় জল জমলেই সমস্যা। তাই যে পাত্রে সেটি বসানো হবে, তার জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভাল থাকা জরুরি। চ্যাপ্টা ধরনের পাত্র সাকুলেন্ট বসানোর জন্য উপযোগী। কারণ, এই গাছের শিকড় খুব বেশি থাকে না। মাটির পাত্র হলে ভাল হয়। তা থেকে সহজে জল বেরিয়ে যেতে পারে। অ্যালোভেরা বা বড় প্রজাতির ক্র্যাসুলা হলে একটি টবে একটি করে গাছ বসান। ছোট সাকুলেন্ট একটি একটি করে বা মিলিয়ে মিশিয়ে বসাতে পারেন। ডাঙ্কিজ় টেল বা স্ট্রিং অব পার্লস রাখতে পারেন ঝোলানো পাত্রে।
মাটি: ২ ভাগ বাগানের মাটির সঙ্গে ১ ভাগ বালি এবং ১ ভাগ পিউমাইস (এক ধরনের পাথর )মেশাতে হবে। এতে জল একেবারেই জমতে পারবে না।
বসানোর পন্থা: নার্সারি থেকে আনা সাকুলেন্টের গোড়া সযত্নে আলগা করে নিতে হবে। শিকড়-সহ সঠিক ভাবে বসাতে হবে নতুন পাত্রে। একটি পাত্রে নানা রকম সাকুলেন্ট বসালে একটির সঙ্গে অন্যটি একটু দূরত্ব রেখে বসানো দরকার।
সূর্যালোক: অন্দরের গাছ হলে সূর্যালোক দরকার। অন্তত ছ’ঘণ্টা হালকা রোদ আসে, এমন স্থানে সেটি রাখা জরুরি। আলো-হাওয়ার অভাব হলে গাছের ক্ষতি হবে।
জল: এই গাছে যখন তখন জল দিতে হয় না। মাটি শুকিয়ে গেলে তবেই জল দেওয়া দরকার।