তুলসীগাছ বাড়ছে না? কেন এমন হচ্ছে? ছবি:ফ্রিপিক।
শীত হোক বা বর্ষা, যে কোনও মরসুমে সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে তুলসীপাতা মহৌষধির মতো কাজ করে। অনেক বাড়িতে সারা বছরই তুলসী গাছ থাকে। কেউ ধর্মীয় কারণে পুজোআচ্চার জন্য, কেউ আবার ঔষধি গুণের জন্য শরীর চাঙ্গা রাখতে তুলসী গাছ রাখেন বাড়িতে। সেই গাছের বৃদ্ধি আচমকা থমকে গিয়েছে। পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে? কেন এমন হয়?
যে কোনও গাছ বেড়ে ওঠার জন্য আলো, হাওয়া, জল— উপযুক্ত পরিবেশ লাগে। সেই পরিবেশ ঠিকমতো না পেলে থমকে যেতে পারে গাছের বাড়বৃদ্ধি।
আলো পায়? অনেকেই যেহেতু পুজোর জন্য তুলসী গাছ রাখেন, সেই জন্য সেটি রাখতে হয় নির্দিষ্ট দিক বা স্থানে। যেথানে গাছ রেখেছেন সেখানে কি আলো কম আসে? ৪-৬ ঘণ্টা সূর্যালোক তুলসীগাছের জন্য ভাল। তার চেয়ে কম আলো পেলে গাছের বৃদ্ধি থমতে যেতে পারে।
নিয়ম করে গাছে জল দেন: প্রতি দিন গাছে নিয়ম করে জল দেন। কিন্তু ঋতুভেদে জলের পরিমাণেও বদল দরকার। তুলসীগাছের গোড়ায় জল জমলে শিকড় পচে যেতে পারে। মাটি ক্রমাগত ভিজে থাকলে স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় পোকামাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। তা ছাড়া গরম বা শীতে যতটা জল প্রয়োজন, বর্ষায় ততটা জল না-ও লাগতে পারে। গাছের গোড়ার মাটি শুকিয়ে এলে তখন জল দিন।
মাটি: ধর্মীয় কারণে যেহেতু এই গাছ অনেকে রাখেন, আর পাঁচটা গাছের মতো পরিচর্যায় সে কারণে নজর থাকে না অনেকের। মাটি থেকেই যে কোনও গাছ পু্ষ্টি পায়। গাছের উপযোগী খনিজের অভাব হলে গাছ শুকিয়ে যেতে পারে, ঠিকমতো না-ও বাড়তে পারে। এমন হলে সার বা কোকোপিট যোগ করতে পারেন।
কাটছাঁট: তুলসীগাছ কাটতে চান না অনেকে। যে কোনও গাছই সঠিক কায়দায় ছাঁটলে তার আকার যেমন ঠিক থাকে তেমনই নতুন ডালপালা গজায়। তুলসী গাছও তার ব্যতিক্রম নয়। দু’মাসে এক বার পুরনো এবং শুকিয়ে যাওয়া ডাল ছেঁটে দিন।
পোকামাকড়: তুলসী গাছ স্বল্প যত্নেই বেড়ে ওঠে। তবে কখনও কখনও এই গাছেও পোকা হানা দিতে পারে। পোকামাকড়ের আক্রমণ হলে গাছে নিমতেল স্প্রে করতে পারেন।