মাটিতে কী মেশালে, গাছ ভাল হবে? ছবি: সংগৃহীত।
গাছের বেড়ে ওঠার জন্য যা যা দরকার তার সবটাই জোগান দেয় প্রকৃতি। মাটি থেকেই গাছ তার বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় রসদ সংগ্রহ করে। মাটিতে থাকে নানা প্রকার খনিজ। যা গাছের জন্য জরুরি।
কিন্তু কোনও কারণে সেই পুষ্টির অভাব ঘটলে, গাছের বৃদ্ধি থমকে যেতে পারে। ফুলের সংখ্যাও কমতে পারে। সে কারণে উদ্যানপালকদের অনেকেরই মত, চারা বসানোর সময়, বা চারা একটু বড় হলে সঠিক টবে সেটিকে প্রতিস্থাপনের আগে মাটি তৈরি করে নেওয়া জরুরি।
মাটি তো মাটিই। প্রশ্ন আসতে পারে মাটি তৈরির অর্থ কী। আসলে দোআঁশ বা বাগানের সাধারণ মাটির সঙ্গে প্রয়োজনীয় সার মিশিয়ে সেটি তৈরি করা হয়। যাতে টবের জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা যেমন ভাল থাকে, তেমনই বেড়ে ওঠার সময় গাছের পুষ্টির অভাব না হয়।
ভার্মিকম্পোস্ট: বাগান করতে গেলে এই জিনিসটি জেনে নেওয়া প্রয়োজন। মূলত জৈব সারকেই এই গোত্রে ফেলা হয়। যেমন গরুর গোবর পচে সারে পরিণত হয়। কেঁচো বা বিভিন্ন পোকা জৈব পদার্থ পচিয়ে যে সার তৈরি করে তাকে ভার্মিকম্পোস্ট বলা হয়। মাটিতে দিলে, পুষ্টিগুণ বাড়ে। গাছের খাবারও বলা চলে।
কোকোপিট: গাছ বেড়ে ওঠার জন্য মাটি যেমন মাধ্যম, তেমনই কোকোপিট। নারকেলের ছোবড়া থেকে এটি তৈরি করা হয়। এতে থাকে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, জ়িঙ্ক। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি গাছ বেড়ে ওঠার জন্য জরুরি। মাটির চেয়ে বেশ হালকা কোকোপিট। গাছ বসানোর আগে মাটি প্রস্তুত করতে হয়। সেই সময়ে এই উপাদানটি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে নেওয়া হয়। যে হেতু এটি মাটির মতো শক্ত হয় না, গাছের শিকড় ছড়িয়ে পড়তে তা সাহায্য করে। কোকোপিট ব্যবহারে গাছের মাটি আলগা থাকে। ফলে জল-হাওয়া ভাল ভাবে মাটিতে প্রবেশ করতে পারে।
বালি: পুষ্টি জোগানোর জন্য নয়, গাছ যাতে সুস্থ ভাবে বেড়ে উঠতে পারে সে জন্য বালির দরকার হয়। গাছের গোড়ায় জল জমলে শিকড় পচে যেতে পারে। কিন্তু মাটিতে পরিমাণমতো বালি মিশিয়ে নিলে, অতিরিক্ত জল সহজে বেরিয়ে যেতে পারে।
তবে ভার্মিকম্পোস্ট হোক বা কোকোপিট কিংবা বালি— গাছ ভেদে নির্ভর করবে মাটিতে কোন উপাদান কতটা মেশানো হবে।