পুজোর আড্ডা জমুক বারান্দাতেই, সাজিয়ে ফেলুন মনের মতো করে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
পুজোর সন্ধ্যায় বারান্দায় বসে এক কাপ গরম চা এবং টা-এর সঙ্গে যদি থাকে জমাটি আড্ডা, তা হলে আর কী চাই! কাছের বন্ধু বা আত্মীয়-পরিজন নিয়ে শারদীয় আড্ডা ও খাওয়া-দাওয়া জমে উঠতে পারে সাজানো-গোছানো অলিন্দেই। তার জন্য যৎসামান্য প্রচেষ্টা ও কৌশলের প্রয়োজন। একটানা লম্বা বারান্দা না-ই বা হল, মাপ ছোট হোক বা বড়, তাতেই শখ পূরণ হতে পারে মনের মতো করে। তারকাদের ফ্ল্যাটের বারান্দার চাকচিক্য দেখে যদি আপনারও সাধ জাগে, তা হলে তা করা যেতেই পারে। রুচিসম্মত ভাবে বারান্দার সাজসজ্জা করতে চাইলে, রইল টিপ্স।
বারান্দার সাজে নতুনত্ব
দেওয়ালের সাজ
উৎসবের আমেজে বারান্দার দেওয়াল ভরে উঠতে পারে নানা রঙিন জিনিসপত্রে। ছবি টাঙাতে পারেন। কিংবা লতানো গাছ রাখলেও মন্দ হবে না। বারান্দার মাপ যদি ছোট হয়, তা হলে নীচে বেশি জিনিস না রেখে দেওয়ালই ব্যবহার করতে পারেন। টুকিটাকি জিনিস হাতের কাছে রাখতে দেওয়ালে ছোটবড় নানা মাপের তার করতে পারেন। তাতে সুগন্ধি মোমবাতি ও ঘর সাজানোর নানা জিনিস রাখলে দেখতে ভাল লাগবে।
বারান্দার দেওয়াল সাজান নানা কারুকাজে। ছবি: ফ্রিপিক।
বসার জায়গা
কুশন বা গদি মোটামুটি সব বাড়িতেই এখন সহজলভ্য। বারান্দার আয়তন বুঝে নিয়ে মেঝেতে কুশন বা গদি বিছিয়ে নিন। একটু আয়েশ করে সময় কাটানোর একেবারে আদর্শ। বারান্দার একটু বড় বা মাঝারি মাপের হলে, সেখানে বেতের চেয়ার-টেবিল বা মোড়া দিয়ে সাজাতে পারেন। মাঝে ছোট টি-টেবিল রেখে তার উপরে ফুলদানি রাখুন। উৎসবের বিকেলে সেখানে বসে চায়ের সঙ্গে আড্ডা জমে যাবে। আবার একাধিক তাক রয়েছে বা নীচে জিনিসপত্র রাখা যায়, এমন নকশার টেবিল বেছে নিতে পারেন। খাওয়ার জন্য থালা, গ্লাস বা প্রয়োজনীয় জিনিস রাখতে সুবিধা হবে।
সাজানো-গোছানো বারান্দা। ছবি: ফ্রিপিক।
সবুজে ভরে উঠুক
নানা ধরনের গাছ লাগাতে পারেন বারান্দায়। একচিলতে বারান্দা হলেও ক্ষতি নেই। নানা মাপের ও রঙের ঝুলন্ত টব লাগিয়ে দিন। তাতে লতানো বা ঝোপের মতো গাছ লাগান। দেখতে ভাল লাগবে। কাঠ বা রট-আয়রনের গাছ রাখার কয়েকটি তাকও রাখতে পারেন বারান্দার একদিকে। তা হলে অনেক বেশি সংখ্যায় গাছ রাখতে পারবেন। মরসুমি ফুলের গাছ লাগালে দেখতে সুন্দর লাগবে। তা ছাড়াও বোগেনভিলিয়ার মতো লতানো ফুলের গাছ লাগাতে পারলে বারান্দার ভোলই বদলে যাবে।
অলিন্দের সাজ সুন্দর হলে সারা দিনের ক্লান্তি কেটে যাবে। ছবি: এআই।
কৃত্রিম ঘাস লাগিয়ে অনেকেই এখন বারান্দাটা বাগানের মতো সাজান। পুরোটা না করলেও একদিকটা এ ভাবে সাজাতে পারেন। পাশে নুড়ি পাথর ছড়িয়ে দিন। অন্যদিকে কার্পেট পেতে তাতে দু’টি ছোট মোড়া রেখে দিন। সারা দিন কাজের পরে ফিরে এখানে বসলেই দেখবেন মনের সব উদ্বেগ কমে গিয়েছে।
বাগানের মতো কৃত্রিম ঘাস দিয়ে সাজাতে পারেন বারান্দা। ছবি: ফ্রিপিক।
বাহারি আলো
সন্ধ্যার পর বারান্দাকে আলোকোজ্জ্বল দেখাতে আলো দিয়ে সাজিয়ে তুলুন। মস্ত ঝাড়লন্ঠন বা ল্যাম্পশেড নয়, বরং ছোট ছোট টুনি লাইটেই সুন্দর লাগবে আপনার অলিন্দ। পুরনো দিনের লন্ঠনের মতো আলো দেওয়ালে পেরেক দিয়ে টাঙিয়ে দিতে পারেন। উৎসবের দিনে একটু অন্য ধরনের আলো লাগাতে পারেন। ডিস্কো লাইট, ঘুরন্ত ফ্লাশ বাল্ব, ইউএফও, পদ্মফুলের মতো আলো উৎসবের মেজাজ এনে দেবে। তা ছাড়া এলইডি-র প্রদীপ, মোমবাতিও সহজলভ্য। অনলাইনেও পেয়ে যাবেন। বারান্দার রেলিং-জুড়ে এলইডি প্রদীপ দিয়ে সাজালে পুজোর সন্ধ্যা জমে যাবে।