Uncommon Christmas Tree

ক্রিসমাস ট্রি না-ই বা সাজালেন! বাড়িতে বড়দিনের আমেজ আসুক ‘স্মার্ট’ বিকল্প দিয়ে

বাঙালির বড়দিনে ঘর সাজানোর চলটি সম্প্রতি বেড়েছে। বিদেশের মতো পাইন, ফার কিংবা এ দেশের দেবদারু, ইউক্যালিপটাস, ঝাউ গাছের ডাল না হলেও অনেকেই ইদানীং বড়দিনে কৃত্রিম ক্রিসমাস ট্রি কিনে আনেন বাড়িতে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:৩৮
Share:

ছবি : সংগৃহীত।

যেকোনও উৎসবেই যে কোনও সমাজে ঘর সাজানোর চল আছে। তার কারণও রয়েছে। মনের ভিতর যে উৎসবের রেশ, তা বাহ্যত ভাল লাগে। মনমেজাজও ভাল থাকে তাতে। বাঙালির কাছে অবশ্য বড়দিনের উদ্‌যাপন কোনও নতুন বিষয় নয়। তবে বড়দিনে ঘর সাজানোর চলটি সম্প্রতি বেড়েছে। বিদেশের মতো পাইন, ফার কিংবা এ দেশের দেবদারু, ইউক্যালিপটাস, ঝাউ গাছের ডাল না হলেও অনেকেই ইদানীং বড়দিনে কৃত্রিম ক্রিসমাস ট্রি কিনে আনেন বাড়িতে। সাজান নানা রকমের ‘ক্রিসমাস ডেকরেশন’ দিয়ে। তবে বড়়দিনের সাজসজ্জার জন্য যে ক্রিসমাস ট্রি কিনতেই হবে, তার কোনও মানে নেই!

Advertisement

বড়দিনে নিজের ঘর বা অফিসের ডেস্ক কিংবা বাড়ির কোনও একটি কোণ সাজাতে পারেন ছক ভেঙেও। যা বাকিদের থেকে এক নিমেষে আলাদা করে দেবে আপনাকে। যিনি দেখবেন, চমকে যাবেন।

যেমন অন্য রকম তেমনই কেতাদুরস্ত অথচ ছিমছাম এই ক্রিসমাস ট্রি। একটি শুকনো গাছের ডালকে কাচের জারে রেখে দেওয়া হয়েছে। ডালে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে সোনালি রঙের ছোট বড় বাবল বল। নীচে কয়েকটি শুকনো পাইন ফল, দু’টি মোমবাতি আর ঝাউপাতার মতো দেখতে কৃত্রিম পাতা। অফিসের ডেস্ক বলুন বা বাড়িতে বসার ঘরের কোনও টেবিল টপ, এমন সাজানো থাকলে গৃহকর্তার রুচির পরিচয়ই বহন করবে।

Advertisement

বই নিয়েই কাটে সারা বছর। তর্ক-বিতর্ক-আলোচনা-লেখালেখি আর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হলে কফি কিংবা হালকা মদ্যপান। বড়দিনেই বা তা বাদ থাকে কেন। ছবির ক্রিসমাস ট্রি তৈরি করা হয়েছে নানা ধরনের বই উপর উপর সাজিয়ে। মাথায় তারার বদলে বসানো হয়েছে স্কচ হুইস্কির বোতল। উৎসবের আমেজ এসেছে জড়িয়ে দেওয়া রঙিন মিনিয়েচার আলোয়।

শেষ মুহূর্তের সাজ। কিন্তু এমন ক্রিসমাস ট্রি দেখলে বুদ্ধিদীপ্ত ভাবনার প্রশংসা করতেই হয়। ঘরাঞ্চিতে মস ফ্রিল আর আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে। আর সিঁড়ির ধাপে ধাপে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে নানা রকমের বড়দিনের সাজ। তাতে যেমন সান্টা ক্লজ়, স্নো ম্যান, পুতুল থাকতে পারে, তেমনই থাকতে পারে পছন্দসই এবং বড়দিনের ভাবনার সঙ্গে মিল থাকা যে কোনও জিনিস। যাঁরা বাঁধা গতে চলতে ভালবাসেন না, তাঁদের জন্য এমন বড়দিনের সাজ আদর্শ।

পিচবোর্ড দিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি লম্বাটে ত্রিভুজ। ভিতরে সুতোয় গেঁথে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে নানা ধরনের ক্রিসমাস বাবল বা বল। এই ক্রিসমাস ট্রি-এও রয়েছে একটু অন্য ধরনের কেতা।

দেখেই আরাম হবে, এমন ক্রিসমাস ট্রি। এ গাছের গোড়ায় আরাম করে বসতেও ইচ্ছে হতে পারে। কারণ এই ‘গাছ’ তৈরি করা হবে ছোট-বড় নানান মাপের বালিশ দিয়ে। তবে এমন ক্রিসমাস ট্রি বানানোর প্রস্তুতি নিতে হবে হাতে ক’দিন সময় রেখে।

পকেট বাঁচানো ক্রিসমাস ট্রি। অথচ যেখানেই থাকবে সেই জায়গাটা ভরিয়ে রাখবে। স্রেফ সাদা কাগজ চোঙের মতো করে মুড়ে। গায়ে জডিয়ে দেওয়া যেতে পারে সোনালি, লাল বা সবুজ রঙের শিকলি। সঙ্গে জড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে মিনিয়েচারও।

এই ক্রিসমাস ট্রিও পকেট বাঁচানো। অথচ কেতাদুরস্ত। খবরের কাগজকে সোনালি রঙে রং করে নিয়ে তা চোঙার মতো করে মুড়িয়ে তৈরি করা হয়েছে গাছটি। পাশে ছোট ছোট গাছও তৈরি করা হয়েছে কাগজ দিয়েই। চৌকো করে কাটা টুকরো টুকরো পাতা ডুবিয়ে নেওয়া হয়েছে নানা ধরনের সবুজ রঙে। ছোট-বড় গাছ পাশাপাশি রেখে নীচে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে উপহার। বসার ঘরে কিংবা শোওয়ার ঘরে সাইড টেবিলে এমন গাছ সাজিয়ে রাখা যেতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement