অভিনেত্রী রকুলপ্রীত সিংহ এবং জ্যাকি ভগনানির অ্যাপার্টমেন্টের অন্দরমহল একবার ঘুরে দেখবেন নাকি? ছবি: সংগৃহীত।
এক জন বলিউড অভিনেত্রী, অন্য জন অভিনেতা এবং প্রযোজক। রকুলপ্রীত সিংহ এবং তাঁর স্বামী জ্যাকি ভগনানির ফ্ল্যাটের অন্দরমহল এ বার প্রকাশ্যে। ছবি নির্মাতা ফারহা খান সম্প্রতি গিয়েছিলেন রকুল, জ্যাকির অ্যাপার্টমেন্টে। তাঁকে ঘরদোর ঘুরিয়ে দেখান অভিনেতা দম্পতি। সমাজমাধ্যমে সেই ভিডিয়ো দেখে চমকে গিয়েছেন অনেকে। অন্দরসজজ্জা দেখে মুগ্ধ অভিনেত্রী, কোরিওগ্রাফার ফারহা খান নিজেও।
রকুল-জ্যাকির বাড়ির অন্দরমহল। ছবি: সংগৃহীত।
বিয়ে করেছেন এক বছর হল। পুরোদমে সংসার করছেন তারকা দম্পতি। তাঁদের সেই সংসার জীবনের গল্পই আঁকা বাড়িতে। তবে এই বাড়ি থেকে চমৎকৃত হবেন যে কেউ। কারণ, বসার ঘর থেকে খাওয়ার ঘর, পার্টি করার ঘর এমনকি ঠাকুরঘরেও রয়েছে নান্দনিকতার স্পর্শ। এক নজরে দেখে নিন রকুল, জ্যাকির বাড়িটি।
মুম্বইয়ের পালি হিলে তাঁদের অ্যাপার্টমেন্টের ছত্রে ছত্রে বৈভবের ছোঁয়া। লিফট দিয়ে উঠেই লবি। সেখানেই বৃহৎ একটি ফুলদানিতে সজ্জিত ফুল এবং কালো রঙের ব্যবহারে দেওয়ালসজ্জা প্রথম ধাপেই নজর কাড়ে।
বসার ঘর
বসার ঘরের সজ্জাও চোখে পড়ার মতোই সুন্দর।
উচ্চতা, প্রাকৃতিক আলো, কৃত্রিম আলো— এই সব কিছুকে কাজে লাগিয়ে আধুনিক অন্দরসজ্জার রীতি মেনে সাজানো বসার ঘর। আয়তনে যেমন বড়, ঠিক তেমনই আসবাব চয়ন। দেওয়ালে শোভা পাচ্ছে ছবির অসাধারণ কয়েকটি সংগ্রহ। জ্যাকি জানিয়েছেন, এটি তাঁর মা পূজার কৃতিত্ব। ঘরে রয়েছে আরামদায়ক সোফা, সুদৃশ্য টেবিল এবং মানানসই বসার জায়গা। সোফার পাশে ইস্পাত রঙের বেশ বড় আকারের কয়েকটি দাবার ঘুঁটি নজর কাড়ে। ঘরের ছাদ দ্বিগুণ উচ্চতার।
ঠাকুর ঘর
ঠাকুরঘরের দেওয়াল, মেঝে পুরোটাই সাদা। ছবি: সংগৃহীত।
রকুল, জ্যাকির বাড়িতে রয়েছে বেশ বড় এবং খুব সুন্দর করে সাজানো ঠাকুরঘর। অবশ্য তাঁরা এটিকে ‘মন্দির’ বলেন। গণেশ, রাধাকৃষ্ণ থেকে অনেক রকম মূর্তি সেখানে সজ্জিত। রয়েছে ফ্রেমে বাঁধানো ঠাকুরের ছবিও। মেঝের রং দুধসাদা।
পার্টি রুম
ঘনিষ্ঠ বান্ধব এবং পরিজনদের নিয়ে এই ঘরে সময় কাটান রকুল-জ্যাকি। ছবি: সংগৃহীত।
ঘরের এক দিকে বার কাউন্টার। অন্য দিকে, আরামদায়ক সোফা। ঘর সজ্জিত নানা রকম ছবি, সিলিং লাইট দিয়ে। এই ঘরে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করেন জ্যাকি এবং রকুল।
খাওয়ার ঘর
এটা ঘড়ি নয়, খাওয়ার থালা। রকুল-জ্যাকির অ্যাপার্টমেন্টে রান্নাঘর এবং খাবার জায়গার ঝলক। ছবি: সংগৃহীত।
খাওয়ার ঘরের টেবিলসজ্জাই শুধু নয়, নজর কাড়ে দেওয়ালসজ্জাও। টেবিলের উপরে রয়েছে ঝাড়বাতি, তবে পুরনো দিনের মতো নয়, একেবারেই হাল ফ্যাশনের। টেবিলে সজ্জিত দেওয়াল ঘড়ির মতো দেখতে খাবার প্লেটটির সৌন্দর্যও বিশেষ ভাবে নজর কাড়ে।
রান্নাঘর
রান্নাঘরটিও বেশ বড়। রয়েছে দু’টো ফ্রিজ,চারটি মাইক্রোঅয়েভ অভেন। ছবি: সংগৃহীত।
রান্নাঘর দেখে যে কেউ চমকে যেতে পারেন। চমকেছেন ফারহাও। তিনি বলেই ফেলেছেন, ‘‘আমার বাড়ির থেকেও বড়।’’ বিশাল হেঁশেলে চাকচিক্য নেই, তবে তা আধুনিক ভাবে সজ্জিত। বাদামিরঙা কাবার্ড, বেইজ কাউন্টার, হেঁশেলে আলোর অভাব হয় না। অনেকটা ফাঁকা জায়গা রয়েছে। আর আছে দু’টি বিশাল ফ্রিজ এবং চারটি মাইক্রোওয়েভ অভেন।
সুইমিং পুল: জ্যাকি-রকুলের অ্যাপার্টমেন্টের ভিতরে সুইমিং পুলটিও দারুণ। একপাশে কাচের দেওয়াল দিয়ে প্রাকৃতিক আলো ঢুকছে, একপাশে আবার কৃত্রিম ঝর্নার মতো জল পড়ে চলেছে।
অ্যাপার্টমেন্টের ভিতরেই সুইমিং পুল।
এর বাইরে রয়েছে জ্যাকি-রকুলের বিশেষ মুহূর্তের এক দেওয়ালজোড়া ম্যুরাল।