হেঁশেলের বর্জ্য দিয়ে সার হবে? কোন জিনিস ফেললেই বিপদ? ছবি:ফ্রিপিক।
পরিবেশের কথা ভাবলে বাগানে রাসায়নিক নয়, জৈব সারই ব্যবহার করা ভাল। সে কারণেই আনাজপাতির খোসা, ডিমের খোলা, হেঁশেলের যাবতীয় জিনিস পাত্রে জমাতে শুরু করেছেন? কিন্তু সপ্তাহ যেতে না যেতেই মিশ্রসার তৈরি করতে গিয়ে দুর্গন্ধে বমি উঠে আসছে? এমনটাই কি হওয়ার কথা, না ভুল হচ্ছে কোনও?
মিশ্রসার তৈরিতে এমন অনেক ধারণা রয়েছে, যা পুরোপুরি সঠিক নয়। তা ছাড়া, সার তৈরির পাত্রে হেঁশেলের কোন জিনিস ফেলা চলে আর কোনটি নয়, তা জানলে সমস্যা হওয়া মোটেই অস্বাভাবিক নয়।
কোন জিনিস সার তৈরির পাত্রে ফেলা চলবে না?
ফেলা যাবে কী কী?
ডিমের খোলা, ফল, সব্জির খোসা, চা-কফির গুঁড়ো এই সমস্ত জৈব উপাদান সার তৈরিতে কাজে লাগানো যাবে।
প্রচলিত ধারণা এবং বাস্তব
· অনেকেই মনে করেন, হেঁশেলের বর্জ্য দিয়ে জৈব সার বানানোর জন্য বাগান প্রয়োজন। কিন্তু একটি বড় বাক্স বা বালতি জোগাড় করতে পারলে বারান্দাতেও এই কাজ করা যায়। সার তৈরির ব্যাগও ব্যবহার করা যেতে পারে।
· পচিয়ে সার তৈরি করতে গেলেই বিশ্রী গন্ধ ছাড়বে, এমনটাও ভাবেন অনেকে। তা পুরোপুরি সঠিক নয়। সার তৈরিতে কোন উপাদান মিশছে, সেটা জরুরি। মাছ, মাংসের টুকরো, আঁশ এ সব দিলে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে। বরং সারের গন্ধ মাটির মতোই।
· শুকনো পাতাও হেঁশেলের বর্জ্য মনে করেন অনেকে। কিন্তু মিশ্র সার তৈরিতে এর ভূমিকা অন্য। হেঁশেলের ভিজে বর্জ্য থেকে সার তৈরির সময় এটি ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে।
ভুল কোথায়?
শুকনো উপাদান এবং ভিজে বর্জ্যের মধ্যে ভারসাম্যের অভাব।
মিশ্রসার তৈরির সময় পচনশীলতার জন্য অক্সিজেনের দরকার। এ জন্য মাঝেমধ্যে সেগুলি ঘেঁটে দেওয়া প্রয়োজন।
রান্না করা অবিশষ্টাংশ পচনশীল জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে দিলেও গন্ধ ছাড়বে। মাছির উপদ্রব হবে।
‘পরিবেশবান্ধব’ জিনিস দিয়ে তৈরি ব্যাগ, বাসন মেশালেও সমস্যা হতে পারে। সেগুলি সরাসরি এ ভাবে পচে না।
কোন জিনিস থাকায় রাখা দরকার?
· শুকনো এবং ভিজে বর্জ্য আলাদা পাত্রে জমানো দরকার।
· মিশ্রসার তৈরিতে অন্তত সপ্তাহখানেক সময় দেওয়া প্রয়োজন।
· রসালো ফলের খোসা, সব্জির খোসা জাতীয় জিনিস দিলে উপর থেকে শুকনো বর্জ্য দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।