বাড়ি ভরবে সুন্দর গন্ধে, কৃত্রিম নয়, কোন প্রাকৃতিক জিনিস বেছে নেবেন? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
নামী-দামি এয়ার ফ্রেশনার বা রুম ফ্রেশনার ঘরের বিশ্রী বা ভ্যাপসা গন্ধ দূর করতে পারে বটে, তবে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। বরং চিকিৎসকেরা কৃত্রিম গন্ধ, স্প্রে এড়িয়ে চলতেই বলেন। ধূপও সুগন্ধ ছড়ায় বটে, কিন্তু শিশু বা হাঁপানির রোগীদের কাছেও তা ক্ষতিকর এবং কষ্টকর। বদলে ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া উপকরণে। হেঁশেলেই রয়েছে প্রাকৃতিক ‘এয়ার ফ্রেশনার’।
ঘর ভরুক সুগন্ধে
আমিষ হোক বা নিরামিষ রান্না কিংবা শেষপাতের পায়েস— এক থেকে দু’টি তেজপাতাই বদলে দেয় খাবারে স্বাদ এবং গন্ধ। সেই তেজপাতাই বদলে দিতে পারে ঘরের আবহও। ঘরের অতিথি আসবেন কিংবা হেঁশেলে বিশ্রী গন্ধ ছাড়ছে? এক বাটি জলে ২-৪টি তেজাপাতা ফুটতে দিন। তেজপাতার বাষ্পীভূত ধোঁয়া যত বেরোবে, ঘর ভরবে মিষ্টি গন্ধে। প্রাকৃতিক উপাদান, ধোয়া নয়, বাষ্প— তাই ক্ষতির ভয় নেই মোটেই।
স্বাস্থ্যের জন্য ভাল
তেজপাতার অনেক গুণ। তেজপাতার জলের বাষ্প নাকে গেলে শ্বাসনালী পরিষ্কার হয়। সর্দি-কাশিতে যেমন জলের ভাপ নিলে আরাম বোধ হয়, ঠিক তেমনই এতেও হয়। তেজপাতায় অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে। তেজপাতা ফোটানো জলের ভাপ তাই ফুসফুসের জন্য ভাল। বিশেষত ঠান্ডা লেগে গলা ব্যথা হলে, এই ভাপ বিশেষ আরামদায়ক হতে পারে।
গন্ধ প্রভাব ফেলবে মনেও?
হালকা, মিষ্টি সুবাস মন ভাল করে দেয়। তেজপাতার গন্ধও তাই। গন্ধের জন্যই হেঁশেলে এর ব্যবহার। গুণাগুণও আছে অবশ্যই। তেজপাতার গন্ধ তাই মনে প্রশান্তি আনতে পারে। চড়া নয়, হালকা সুবাস ছড়িয়ে পড়বে ঘরে।
পোকামাকড় দূরে রাখে!
হেঁশেলে পোকামাকড় তাড়াতে অনেকে তেজপাতা ব্যবহার করেন। বলা হয়, তেজপাতার গন্ধ পিঁপড়ে, ছোটখাটো পোকারা পছন্দ করে না। সে কারণে, যে বাষ্পে ঘর সুগন্ধে ভরবে, সেই বাষ্প পোকাও তাড়াতে সাহায্য করবে।
কী ভাবে তা কাজ করবে?
একটি বড় পাত্রে জল নিয়ে তাতে তেজপাতা ফুটতে দিন। সুগন্ধের জন্য এর মধ্যে কমলালেবুর খোসা, গন্ধরাজ লেবুর পাতা কিংবা এসেনশিয়াল অয়েল কয়েক ফোঁটা দিতে পারেন। এতেও ঘর সুবাসিত হবে।