কত দিন অন্তর চাদর বদলাবেন? এআই সহায়তায় প্রণীত।
কাজ থেকে বাড়ি ফিরে স্নান সেরে ধোয়া জামা গায়ে চাপিয়ে বিছানায় শরীরখানি ফেলে দিলেন। এই আরামটুকু পাওয়ার অপেক্ষা থাকে সারাটা দিন৷ কিন্তু যদি একটু তলিয়ে ভাবা যায়, তা হলে পুরো আরামটাই যাবে মাটি হয়ে। যে বিছানায় আপনি আরাম খুঁজছেন, আশ্রয় খুঁজছেন, তা আদৌ ধোয়া তুলসীপাতা নয়। ঘাম, মৃত কোষ, ধুলো, জীবাণু— সব মিলিয়ে বিছানার চাদর হয়ে ওঠে ব্যাক্টেরিয়ার আঁতুড়ঘর। তাই শুধু কত বার ধোবেন, সেটিই গুরুত্বপূর্ণ নয়, কী ভাবে ধোবেন তা-ও সমান গুরুত্বের দাবি রাখে।
ঋতুভেদে চাদর বদলানোর নিয়ম
গ্রীষ্মে: বেশি ঘাম হয়, তাই সপ্তাহে এক বার ধোয়া জরুরি। যাঁদের ঘাম বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রে সপ্তাহে দু’বার ধোয়াও ভাল।
বর্ষায়: বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে, তাই জীবাণু ও দুর্গন্ধ দ্রুত জমে। এ সময় সপ্তাহে এক বার ধোয়া অপরিহার্য।
শীতে: ঘাম কম হয়, তাই দুই সপ্তাহে এক বার ধুলেও চলে। তবে পোষ্য যদি বিছানায় ওঠে, সপ্তাহে এক বার ধুতেই হবে। অর্থাৎ সপ্তাহে এক বার করে বদলাতে হবে।
বিছানার চাদর যেন থাকে স্বাস্থ্যকর। ছবি: সংগৃহীত।
কী ভাবে ধোবেন চাদর
সঠিক জল বেছে নিন: তুলো বা লিনেনের চাদর গরম জলে ধুলে সবচেয়ে ভাল, এতে ঘাম ও তেলজাতীয় ময়লা সহজে পরিষ্কার হয়। তবে সিল্ক বা উলের মতো কাপড় অবশ্যই ঠান্ডা জলে ধোবেন।
ডিটারজেন্টে নজর দিন: শক্তিশালী কিন্তু মৃদু ঘ্রাণযুক্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত রাসায়নিক বা তীব্র গন্ধযুক্ত ডিটারজেন্ট ত্বকে জ্বালা ধরাতে পারে।
ভিনিগার বা বেকিং সোডা: চাদর নরম রাখতে আর দুর্গন্ধ দূর করতে অল্প সাদা ভিনিগার বা বেকিং সোডা মিশিয়ে নিতে পারেন।
শুকোনো: যথাসম্ভব রোদে রেখে শুকোনো ভাল। রোদ জীবাণু মেরে ফেলে এবং কাপড়কে সতেজ রাখে। ড্রায়ার ব্যবহার করলে হালকা তাপে শুকোবেন।
ইস্ত্রি করা: শুকনো চাদর হালকা ইস্ত্রি করলে ঝকঝকে দেখানোর পাশাপাশি, তাপ জীবাণুও কমায়।
বিছানার বাড়তি যত্ন নেবেন কী ভাবে
বালিশের কভার সপ্তাহে অন্তত এক বার ধুতে হবে।
গদির জন্য কভার ব্যবহার করুন।
চাদর বদলানোর পর গদি ও বালিশ ভাল ভাবে ঝেড়ে নিন।
সুতরাং, চাদর ধোওয়ার কোনও একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। আবহাওয়া, শরীরের ঘাম, পোষ্য, সবের উপর নির্ভর করে ধোয়ার নিয়ম ঠিক করতে হয়। তবে নিয়ম মেনে ধুলে ও শুকোলে স্বাস্থ্যহানির ঝুঁকি থাকবে না, ঘুমও হবে আরামদায়ক।