টয়লেট পেপার দিয়ে পরিষ্কার করুন কমোড। ছবি: সংগৃহীত।
বাথরুমের মেঝে থেকে কমোড, জলের জেদি দাগ হোক বা নোংরা, ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হলে ভরসা করতে হয় সেই ভারী রাসায়নিকের উপরই। আর তাতে দ্রুত ক্ষয়ে যেতে থাকে মেঝে থেকে কমোড-বেসিন। যেমন বাথরুমের মেঝে থেকে কমোডের নাছোড় হলুদ-কালো দাগ সরাতে অনেকেই অ্যাসিড ব্যবহার করেন। কয়েক বছরের মধ্যেই (কখনও তা মাসে পরিণত হতে পারে) রুক্ষ হয়ে যাবে মেঝে। আর তাতে ময়লা আরও বেশি জমে যাবে। উপরন্তু পরিবেশ দূষণের জন্যেও এই উপাদানগুলি দায়ী। কিন্তু কম ক্ষতিকারক ক্লিনজ়ার তৈরি করেও বাথরুম পরিষ্কার করতে পারেন। তাতে খাটনিও কম, দূষণও কম। অন্য দিকে তা বেশি কার্যকর। সবচেয়ে জরুরি বিষয়, এই পদ্ধতি খরচসাপেক্ষ নয়।
টয়লেট পেপার এবং ভিনিগার— এই দুইয়ের সাহায্যেই জেদি দাগ উধাও হবে বাথরুম থেকে। ‘অক্সফোর্ড অ্যাকাডেমি’-র ‘জার্নাল অফ অ্যাপ্ল্যায়েড মাইক্রোবায়োলজি’-তে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছিল, ভিনিগারে উপস্থিত অ্যাসিটিক অ্যাসিড নানাবিধ ব্যাক্টেরিয়া নাশ করতে বেশ কার্যকরী। যেমন ই কোলাই, স্যালমোনেল্লার মতো ব্যাক্টেরিয়া, যেগুলি সচরাচর টয়লেটে বাসা বাঁধে সেগুলি দূর করা যায় সহজেই।
বাথরুমের মেঝে থেকে কমোডের নাছোড় হলুদ-কালো দাগ সরাতে অনেকেই অ্যাসিড ব্যবহার করেন। ছবি: সংগৃহীত।
কোন পদ্ধতিতে পরিষ্কার করতে হয়?
বেশ খানিকটা টয়লেট পেপার নিয়ে ভিনিগারে চুবিয়ে দিন। তার পর কমোডে রেখে দিন। ফ্লাশ করবেন না বেশ খানিক ক্ষণ। কারণ, ভিনিগার ধীরে ধীরে টয়লেট পেপার থেকে কমোডে ছড়িয়ে পড়বে। অর্থাৎ জেদি দাগগুলির সংস্পর্শে থাকবে অনেক ক্ষণ। ভারী রাসায়নিক ছাড়াই এই পদ্ধতিতে কমোড পরিষ্কার করতে পারবেন। আপনাকে হাতও দিতে হবে না।
ভিনিগারের উপকারিতা: ভিনিগারের অ্যাসিটিক অ্যাসিড যে কেবলই ব্যাক্টেরিয়া মারতে পারে, তা-ই নয়, জমে থাকা ময়লাকে নরম করে দিতে পারে। ফলে পরিষ্কার হয় দ্রুত। তা ছাড়া এটি বিষাক্ত নয়, প্রকৃতিতে সহজে মিশে যেতে পারে এবং সেপ্টিক সিস্টেমের জন্য নিরাপদ বিকল্প।
টয়লেট পেপারের উপকারিতা: ধীরে ধীরে কোনও উপাদান বাইরে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কার্যকরী টয়লেট পেপার। ভিনিগারে ভিজিয়ে তা সরাসরি কমোডে ফেলে রাখলে দীর্ঘ ক্ষণ ধরে দাগের সংস্পর্শে থাকতে পারে। সরাসরি ভিনিগার ঢেলে দিলে যা কখনওই হয় না। ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে দাগ তোলার ঝক্কিও নেই, এ দিকে রাসায়নিকের প্রয়োজনও নেই।