গরম হোক বা শীত—ঢাকা জুতো পরলে অনেকেরই পায়ে বিশ্রী গন্ধ হয়। বিশেষত মোজা, জুতো পরে থাকলে অনেকেরই পা ঘামে। সেই ঘামেই বেড়ে ওঠে ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক। যার ফলে পা থেকে দুর্গন্ধ বেরোয়। সেই গন্ধ এতটাই তীব্র যে লোকসমক্ষে জুতো খোলাই যায় না। সমস্যাটি কিন্তু অত্যন্ত বিব্রতকর।
সমস্যার সমাধানে যা করতে পারেন
নিয়মিত পা পরিষ্কার করুন: প্রতি দিন সাবান দিয়ে পা ভালো করে পরিষ্কার করুন, বিশেষ করে আঙুলের ফাঁকগুলো।স্নান করার পর বা পা ধোয়ার পর পা এবং আঙুলের ফাঁকগুলো মুছে নিন। ভেজা পায়ে মোজা বা জুতো না পরাই ভাল। এতে গন্ধ হয়।
পাউডার ব্যবহার করুন: মোজা পরার আগে পায়ে, বিশেষ করে আঙুলের ফাঁকে, ট্যালকম পাউডার বা অ্যান্টি-ফাঙ্গাল পাউডার ব্যবহার করুন। এতে পা শুকনো থাকবে এবং ঘাম কম হবে।
ভিনিগার: সপ্তাহে ২-৩ বার একটি পাত্রে গরম জল নিয়ে তাতে আধ কাপ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে ১৫ মিনিটের জন্য পা ডুবিয়ে রাখুন। এই মিশ্রণ ব্যাক্টেরিয়া মারতে সাহায্য করে।
মোজা ও জুতোর পরিচর্যাও জরুরি
ঘামের সমস্যা থাকলে প্রতি দিন কাচা মোজা পরতে হবে। উল, সিন্থেটিক মোজার বদলে সুতির মোজা পরলেও দুর্গন্ধের সমস্যা কমবে। সুতির মোজা সহজে ঘাম শুষে নিতে পারে এবং বাতাস চলাচলে সাহায্য করে।
জুতো রোদে দিন: স্নিকার্স খোলার পরে সেগুলি খোলা ও বাতাসযুক্ত জায়গায় রাখুন বা সপ্তাহে অন্তত একবার ভালো করে রোদে দিন যাতে জুতোর ভিতরের আর্দ্রতা দূর হয়। পা খুব বেশি ঘামলে, জুতো বদলে বদলে পরতে পারেন। এ ক্ষেত্রে জুতো একবার পরার পর সেটি সারা রাত হাওয়ায় থাকবে, পরের দিন রোদেও দেওয়া যাবে। দুর্গন্ধ হবে না। জুতোর ভেতরের ইনসোল যদি পুরনো হয়ে যায় তা পাল্টে ফেলুন বা ধুয়ে দিন।
ঘরোয়া প্রতিকার
বেকিং সোডা: জুতো পরার আগে সামান্য বেকিং সোডা জুতোর ভেতরে ছিটিয়ে দিন এবং পর দিন ঝেড়ে ফেলুন। এ ভাবে জুতোর গন্ধ কমানো যায়।
টি ব্যাগ: নতুন শুকনো টি ব্যাগ রাতে জুতোয় রেখে দিন। এটিও জুতোর আর্দ্রতা ও গন্ধ শুষে নিতে সাহায্য করে।
কমলার খোসা বা লবঙ্গ: রাতে জুতোয় কমলালেবুর খোসা বা কয়েকটি লবঙ্গ রেখে দিলে জুতো থেকে সুন্দর গন্ধ বের হবে।