ফ্রিজের যত্ন নেওয়ার কৌশল। ছবি: সংগৃহীত।
ফ্রিজের প্রয়োজন কি শুধুই খাবার ঠান্ডা রাখার জন্য? নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী, খাবারের অবশিষ্টাংশ, কাঁচা সব্জি, মশলাপাতি, জল, ফলের রস কি দীর্ঘ দিন সতেজ রাখা যেত ফ্রিজ ছাড়া? দেশের বৃহৎ অংশের গৃহস্থ বাড়ি এখন রেফ্রিজারেটর ছাড়া অন্ধ। তাই ফ্রিজকে ভাল ভাবে ব্যবহার করা ও তার নিয়মিত যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। সঠিক যত্ন নিলে ফ্রিজ বহু বছর টিকবে, বিদ্যুৎ খরচও কম হবে।
ফ্রিজের আয়ু বাড়ানোর ৫টি সহজ উপায়—
১. কনডেন্সার কয়েল পরিষ্কার রাখুন
ফ্রিজের পিছনে বা নীচে থাকা কনডেন্সার কয়েল গরম বাতাস বাইরে বার করে দেয়। ধুলোময়লা জমে গেলে ফ্রিজকে বেশি চাপ নিতে হয়, ফলে খরচ বাড়ে এবং আয়ু কমে। তাই বছরে অন্তত দু’বার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে ব্রাশ বা ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে ভাল ভাবে পরিষ্কার করুন।
২. দরজার রাবার সিল ঠিক রাখুন
ফ্রিজের দরজার চারপাশের রাবার সিল ফ্রিজের ভিতরের ঠান্ডা ধরে রাখে। সিল নষ্ট হলে ঠান্ডা বেরিয়ে যায় আর ফ্রিজকে বেশি শক্তি খরচ করতে হয়। তাই নিয়মিত ভিজে কাপড় দিয়ে মুছে পরিষ্কার রাখুন। প্রয়োজনে সামান্য ভেসলিন ব্যবহার করলে সিল নরম থাকবে।
বিদ্যুৎ খরচ কমানোর জন্যেও ফ্রিজের যত্নের নিয়ম মেনে চলতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
৩. ভেতরের ভেন্ট বন্ধ করবেন না
ফ্রিজ ও ফ্রিজ়ারের ভেতরে থাকা ভেন্ট দিয়ে ঠান্ডা বাতাস ছড়ায়। ভেন্টের সামনে বাসন রেখে দিলে পথ আটকে যায়। ফলে বাতাস চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। এতে ফ্রিজ যথেষ্ট ঠান্ডা হয় না। তাই খাবার এমন ভাবে সাজান, যাতে ভেন্ট খোলা থাকে।
৪. ফ্রিজে খাবার রাখার সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখুন
ফ্রিজ একেবারে খালি রাখবেন না, আবার অতিরিক্ত ভরবেনও না। খালি থাকলে ঠান্ডা ধরে রাখা কঠিন হয়, আর গাদাগাদি করে ভরলে বাতাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সবচেয়ে ভাল হয় যদি ফ্রিজ তিন-চতুর্থাংশ ভর্তি থাকে।
৫. সমস্যা হলে দেরি না করে সমাধান করুন
ফ্রিজ থেকে অস্বাভাবিক শব্দ হলে, দরজা ঠিক মতো বন্ধ না হলে বা ঠান্ডা কম হচ্ছে মনে হলে, অবহেলা করবেন না। ছোটখাটো সমস্যা দ্রুত মেরামত করালে বড় ক্ষতি এড়ানো যায় এবং ফ্রিজ দীর্ঘ দিন ভাল থাকে।
এই ছোট ছোট নিয়ম মেনে চললেই ফ্রিজ আরও বেশি দিন কার্যকর থাকবে এবং ঝামেলায় ফেলার সম্ভাবনা কমবে।