সকালের চটজলদি প্রাতরাশ, কী কী বানাতে পারেন? ছবি: সংগৃহীত।
দুর্গাপুজো মানেই জমিয়ে ভূরিভোজ, বাইরে খাওয়াদাওয়া, হুল্লোড়। এমন সময় শরীর ঠিক রাখতে সকালের খাবারটি অন্তত স্বাস্থ্যকর হওয়া উচিত। কিন্তু পুজোর সময় হেঁশেল ঠেলতে কারই বা ভাল লাগে! তাই বাসি লুচি বা ফ্রিজে পড়ে থাকা টুকিটাকি জিনিস দিয়েই প্রাতরাশ সারছেন?
পুজো-পার্বণে শরীর ঠিক রাখতে হলে সকালটা অন্তত স্বাস্থ্যকর খাবার দিয়ে হওয়া উচিত। না হলে বাসি লুচির জন্য অম্বল-গ্যাসে ভুগতে হবে দিনভর। কিন্তু ঝক্কি ছাড়াই বানানো যাবে এমন কোন খাবার?
ডাল মোমো: ঝক্কি ছাড়াই বানানো যাবে। ছোলার ডাল ঘণ্টা চারেক ভিজিয়ে জল ঝরিয়ে নুন, কাঁচালঙ্কা, হিং, গোটা জিরে দিয়ে বেটে রাখুন।কড়াইয়ে তেল দিয়ে ডালের পুর একটু নাড়াচাড়া করে রাখুন। আগের রাতে আটা, সুজি একসঙ্গে ময়ান দিয়ে মেখে রেখে দিন। এই কাজগুলি আগে থেকে করা থাকলে সকালে তাড়াহুড়ো থাকবে না।
সকালে উঠে ফ্রিজ থেকে সেগুলি বার করে দিন। তার পর আটা লুচির মতো বেলে পুর ভরে ভাঁজ করে নিন। মোমোর মতো কায়দার দরকার নেই, শুধু পুর দিয়ে আড়াআড়ি ভাঁজ করে নিলেই হল। ফুটন্ত জলের উপর ঝাঁঝরি রেখে এগুলি মিনিট পাঁচ-সাত ভাপিয়ে নিন।
ওট্স: টকদইয়ে ওট্স, চিয়া বীজ-সহ দু’তিন রকমের বীজ দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন ফ্রিজে। কাচের পাত্রে বা শিশিতে ভরে রাখুন। সকালে ফল কুচিয়ে বাদাম দিয়ে খেয়ে নিন। দই পছন্দ না হলে রাতভর দুধে ভিজিয়ে সেটি ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। ভীষণ সহজ কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাবার এটি।
স্পঞ্জ দোসা: চিঁড়ে ২ মিনিট জলে ভিজিয়ে জল ঝরিয়ে নিন। ভিজে চিঁড়ের সঙ্গে সুজি আর টকদই, সামান্য বেকিং সোডা, নুন দিয়ে মিক্সারে ঘুরিয়ে নিন। যোগ করুন পছন্দের ২-৩ রকম সব্জি। মিহি করে কুচিয়ে নিতে হবে। চপার থাকলে এই কাজগুলি এক মিনিটেই করা যায়। সব্জি মিশ্রণটিতে যোগ করুন। কড়াইয়ে তেল বা ঘি গরম করে মিশ্রণটি গোলা করে দিয়ে উল্টে-পাল্টে ভেজে নিন। এটি দোসার মতো মুচমুচে হবে না, হবে স্পঞ্জের মতো নরম।