Self-Rejuvenation at Home

লম্বা ছুটিতে বন্ধুরা বেড়াতে গিয়েছেন আর আপনি বাড়িতেই! চাইলে বাড়িও হতে পারে ‘রিসর্ট’

বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্য মূলত দু’টি— প্রথমত, একঘেয়েমি কাটিয়ে মন ভাল করা এবং দ্বিতীয়ত, নিরালায় বসে নির্ভেজাল বিশ্রাম নেওয়া। এই দু’টিই বাড়িতে বসে করা সম্ভব। তবে তার জন্য দৈনন্দিন রুটিনে সামান্য বদল আনতে হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৫ ১৯:৫৫
Share:

ছবি : সংগৃহীত।

শুক্রবার ১৫ অগস্ট সকাল থেকে একটা লম্বা সপ্তাহান্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। সামনে আরও দু’টো দিন ছুটি। শনিবার জন্মাষ্টমী আর তার পরের দিন রবিবার। চট করে এমন লম্বা ছুটি মেলে না। অনেকেই তাই ওই তিন দিনের ছুটি হিসাব করে বছরের শুরুতেই বেড়ানোর পরিকল্পনা করে ফেলেছিলেন। কেউ কেউ আবার শেষ মুহূর্তে যাওয়ার পরিকল্পনা করে ঝোলা কাঁধে বেরিয়ে পরেছেন কাছেপিঠে হাওয়াবদলের জন্য। কিন্তু এমনও তো অনেকে রয়েছেন, যাঁরা ইচ্ছে হলেও যেতে পারেননি। এই ছুটিতে তাঁদের জন্য বাড়িই হয়ে উঠতে পারে ‘রিসর্ট’! শরীর এবং মনের ব্যাটারিকে রিচার্জ করে নেওয়ার আদর্শ জায়গা। কী ভাবে?

Advertisement

বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্য মূলত দু’টি— প্রথমত, একঘেয়েমি কাটিয়ে মন ভাল করা এবং দ্বিতীয়ত, নিরালায় বসে নির্ভেজাল বিশ্রাম নেওয়া। এই দু’টিই বাড়িতে বসে করা সম্ভব। তবে তার জন্য দৈনন্দিন রুটিনে সামান্য বদল আনতে হবে।

১। বই পড়ুন

Advertisement

শেষ কবে বইয়ের পাতা উল্টে দেখেছেন, বলুন তো! ১০০ জনের ৯০ জনই মনে করে বলতে পারবেন না। মোবাইলের পর্দা থেকে নজর সরানোর সময় পেলে তবে না সুযোগ হবে! কিন্তু দুনিয়ার সব কিছু নিয়ে ‘আপডেটেড’ থাকার পাকেচক্রে তার সময় হয় কোথায়। এই দু’দিন সেই সুযোগ। যখন চাইলে নিজেকে বাইরের সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেন। মন দিতে পারেন পছন্দের বইয়ে। সেটা ভুতের গল্প হতে পারে, রহস্য কাহিনি হতে পারে, হতে পারে কোনও রোম্যান্টিক উপন্যাস। অথবা এমন কোনও পুরনো গল্প যা প্রথম পাঠে ভাল লেগেছিল, তা আবার পড়ে দেখতে পারেন। গবেষণা বলছে, বই পড়লে মস্তিষ্ক হতাশা এবং উদ্বেগ থেকে মুক্ত হয়। কাজের চাপে নানা মানসিক সমস্যার মুখোমুখি হতেই হয়। এই সুযোগে তা কাটিয়ে ফেলুন। আর কে বলতে পারে, এই সুযোগে একটা ভাল অভ্যাসও তৈরি হয়ে গেল আপনার!

২। রান্নাবান্নার পাট রাখবেন না

এই দু’দিন বাড়িতে খুব বেশি রান্নাবান্নার পাট না রাখাই ভাল। বিশেষ করে যদি নিজে হাতে রান্না করতে হয়, তবে দু’টো দিন বাড়ির খাবার না-ই বা খেলেন। বেড়াতে গেলে তো বাইরের খাবারই খেতে হত। সেই বুঝেই পরিকল্পনা করে ফেলুন ৪৮ ঘণ্টার। দরকার হলে কখন কী খাবেন, তার একটি ছোট্ট লিস্ট বানিয়ে নিন। দুপুরে যদি সাদা ভাত আর কষা মাংস খান, তবে রাতে খেতে পারেন গ্রেভি নুড্‌লস। আবার দুপুরে যদি এক দিন পোলাও খান, তবে রাতে খেতে পারেন নান-পরোটা। বাইরে গেলে ঠিক যে ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে খাবার খান, ঠিক সেই ভাবেই সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দর থালায় খাবার বেড়ে খেতে বসুন।

৩। সিনেমা দেখুন

হাতে দু’টো দিন সময় আছে। অর্থাৎ দু’টো দুপুর। বাড়িতেই বসিয়ে ফেলুন ম্যাটিনি শো। সিনেমা হলে যাওয়ার দরকার নেই। সেই আবহ তৈরি করে ফেলুন বসার ঘরেই। পর্দা টেনে, পপকর্ন বানিয়ে টিভির পর্দায় চালিয়ে দিন পছন্দের সিনেমা।

৪। অচেনা রাস্তায় সফর

বাড়িকে ‘রিসর্ট’ বানাবেন মানে এই নয় যে, বাড়ি থেকে বেরনো যাবে না। দু’টো বিকেলের কোনও একটিতে বেরিয়ে পড়ুন কোনও অচেনা রাস্তায়। আপনার দু’চাকা বা চার চাকার বাহনকে সঙ্গী করে ছোট্ট ড্রাইভে। বাড়ির কাছেই যে রাস্তায় কোনও দিনও যাওয়া হয়নি। কে বলতে পারে, হয়তো সেই রাস্তায় চলতে চলতে আবিষ্কার করে ফেললেন আপনার পছন্দের কোনও জায়গা! যেখানে হয়তো আপনাকে বার বার ফিরে আসতে হবে।

৫। নিজের যত্ন নিন

ব্যস্ত জীবনে নিজের যত্ন নেওয়ার সময়ই তো সবচেয়ে কম। এই দু’টো দিনে তার জন্যও সময় বার করে নিন। মহিলারা হাত-পা-মুখের ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য ফেসিয়াল, ম্যানিকিয়োর, পেডিকিয়োর করাতে পারেন। পুরুষেরা করাতে পারেন বডি মাসাজ এবং স্পা। তার জন্য কোথাও যেতে হবে না। বাড়িতে এসে এই সব পরিষেবা দিয়ে যাওয়ার হাজার একটা অ্যাপ এবং সংস্থা রয়েছে। একটু খোঁজ করলেই জানতে পারবেন। তাঁদেরই কাউকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে একটা সন্ধ্যা আরাম উপভোগ করুন। দেখবেন সোমবার দৈনন্দিন রুটিনে ফিরে অনেক তরতাজা বোধ করছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement