দোসা তৈরির মিশ্রণ না মজলে স্বাদ ভাল হবে না। বর্ষায় মিশ্রণটি মজানোর সময় কোন পন্থা মেনে চলা দরকার? ছবি: সংগৃহীত।
দক্ষিণ ভারতীয় খাবার ইডলি, দোসা, দইবড়া এখন বঙ্গের ‘স্ট্রিট ফুড’-এর তালিকায় পড়ে। অনেক বাঙালি হেঁশেলেই ইডলি, দোসা রান্না হয় সারা বছর। তার কারণও আছে। ইডলি খুব সহজে বানানো যায়। জিনিসটি উপাদেয় এবং স্বাস্থ্যকর। দোসাও তাই।
কিন্তু দোসা বা ইডলি বানাতে গেলে দরকার হয় বিশেষ ধরনের চাল এবং বিউলির ডালের মিশ্রণ। মিশ্রণটিকে মজাতে হয়। তার পর তা থেকে রান্না হয়। কিন্তু বর্ষায় কি মিশ্রণটি মজাতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে? মজাতে দীর্ঘ সময় লাগছে বা তা থেকে জল কেটে যাচ্ছে? বর্ষার মরসুমই কিন্তু এই জন্য দায়ী। এই সময়ে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়। পরিবেশে স্যাঁতসেঁতে ভাব থাকে। আবার টানা বৃষ্টি হলে তাপমাত্রাও কমে যায়। মিশ্রণ মজানোর জন্য যে আবহাওয়া দরকার, সেই শর্ত পূরণ করতে না পারার ফলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়।
কী কী সমস্যা হয়?
টানা বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা তুলনামূলক কমে গেলে মিশ্রণটি মজতে দেরি হয়। ১০-১২ ঘণ্টা পরেও মিশ্রণ থেকে বুদ্বুদ উঠতে চায় না।
মজার আগেই টক গন্ধ হয়ে যায়, অর্থাৎ মিশ্রণটি নষ্ট হয়ে যায়।
মিশ্রণ থেকে জল কেটে যায়।
বর্ষার তাপমাত্রার ওঠাপড়া এবং আর্দ্রতার জন্য এমন কিছু কিছু সমস্যা হয়। পুষ্টিবিদ অমিতা গাদরে বলছেন, ‘‘ ফারমেন্টশেনর সময় ভাল ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। যদিও রান্নার সময় তাপে তা নষ্টও হয়ে যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইডলি, দোসা সহজে হজম হয়। স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
বর্ষায় কোন উপায়ে মিশ্রণটি মজাবেন?
১. দোসার মিশ্রণ তৈরির সময় খুব সামান্য জল প্রয়োজন হয়। তবে গরম জল ব্যবহার করলে মজানোর প্রক্রিয়া কিছুটা দ্রুত হবে। বিউলির ডাল বাটার সময়ে ঈষদুষ্ণ জল দিন।
২. বিউলির ডালের সঙ্গে ভেজানো চিঁড়ে, দইয়ের দম্বল বা সামান্য একটু মেথিদানা ভিজিয়ে একসঙ্গে বাটলে মজানোর প্রক্রিয়াটি দ্রুত হবে।
৩. দোসা তৈরির মিশ্রণ দ্রুত মজিয়ে নিতে সেটি কোনও উষ্ণ জায়গায় রাখা দরকার। মাইক্রোওয়েভ অভেন গরম করে তার মধ্যেও পাত্র ভর্তি মিশ্রণটি দিয়ে রাখতে পারেন। এতে তা দ্রুত মজবে।
৪. স্যাঁতসেঁতে আবহে দ্রুত মিশ্রণ নষ্ট হয়ে যায়। ৫-৬ ঘণ্টা পর থেকেই দেখুন, মিশ্রণটি গেঁজিয়ে ফুলে উঠল কি না। তেমন লক্ষণ দেখলে সেটি দ্রুত ফিজে ভরে দিন।