ভোটের মুখে শিবির কম, সঙ্কট রক্তে

পুরভোটের বাদ্যি বাজতেই রক্তের সঙ্কট দেখা দিয়েছে কাটোয়ায়। বেশ কয়েকদিন ধরেই রক্তাল্পতায় ভুগছিল কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে হেমরাজ ব্লাড ব্যাঙ্কটি। মঙ্গলবার তা তলানিতে ঠেকে। দেখা যায় মাত্র এক ইউনিট রক্ত পড়ে রয়েছে। এ দিকে, ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত না থাকায় বিপাকে পড়েন রোগীর আত্মীয়েরা। জমা রক্তের তালিকাতেও দেখা যায় শুধুমাত্র এক ইউনিট ‘এ’ নেগেটিভ রক্ত রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:০২
Share:

ফাঁকা জমা রক্তের তালিকা। —নিজস্ব চিত্র।

পুরভোটের বাদ্যি বাজতেই রক্তের সঙ্কট দেখা দিয়েছে কাটোয়ায়। বেশ কয়েকদিন ধরেই রক্তাল্পতায় ভুগছিল কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে হেমরাজ ব্লাড ব্যাঙ্কটি। মঙ্গলবার তা তলানিতে ঠেকে। দেখা যায় মাত্র এক ইউনিট রক্ত পড়ে রয়েছে।

Advertisement

এ দিকে, ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত না থাকায় বিপাকে পড়েন রোগীর আত্মীয়েরা। জমা রক্তের তালিকাতেও দেখা যায় শুধুমাত্র এক ইউনিট ‘এ’ নেগেটিভ রক্ত রয়েছে। ফলে রক্তদাতার খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরতে দেখা যায় রোগীর আত্মীয়দের। বিশেষত, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগী এবং অস্ত্রোপচারের জন্য চিকিৎসাধীন রোগীদের আত্মীয়রা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। মুশকিলে পড়েন ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীরাও। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে একটি রক্তদান শিবির আয়োজন করা হয়েছিল। তার ৭০ ইউনিট রক্ত তিনদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। আগামী শনিবারের আগে ব্লাড ব্যাঙ্কের রক্তাল্পতা কাটানো মুশকিল বলে অনুমান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। হাসপাতালের এক কর্তা বলেন, “স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে রক্তদানের শিবির করার জন্য বলা হবে।”

শুধুমাত্র কাটোয়া মহকুমা নয়, এই ব্লাড ব্যাঙ্কের উপর নির্ভরশীল পাশের নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলার একটা বড় অংশের মানুষ। হাসপাতাল ছাড়াও শহরের বিভিন্ন নার্সিংহোমগুলিও ওই ব্লাড ব্যাঙ্কের উপর নির্ভরশীল। ফলে এখানে রক্ত না থাকায় রক্তের প্রয়োজন হলেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন রোগীর আত্মীয়রা। ওই ব্লাড ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ২০ ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয়। এত রক্তের যোগান সাধারণত রাজনৈতিক দলগুলির রক্তদান শিবির থেকে আসে। কিন্তু ভোটের বাদ্যি শুরু হয়ে যাওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক দলগুলি রক্তদান শিবির কমিয়ে দিয়েছে, এখন আবার নির্বাচনী বিধি চালু হওয়ার ফলে রাজনৈতিক দলগুলি শিবিরও করতে পারবে না। ফলে সমস্যা মিটতে সময় লাগতে পারে বলেও অনেতের আশঙ্কা। ওষুধ ব্যবসায়ী সংগঠন বিসিডিএ-র কাটোয়া মহকুমার সম্পাদক শমীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবশ্য আশ্বাস, “আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলে কি করা যায় দেখছি।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন