Swimming training

Online classes: শিখি সাঁতার, না ছুঁই পানি! অনলাইন যুগে এমনও হচ্ছে শহরে

এবার জলে না নেমে সাঁতারও শিখতে অভ্যস্ত হচ্ছে শহরের স্কুলপড়ুয়ারা।

Advertisement

সুচন্দ্রা ঘটক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২১ ১৪:২১
Share:

এখন আর এভাবে সুইমিং পুলে নেমে সাঁতার শিক্ষা হচ্ছে না। ফাইল চিত্র

অতিমারি বদলে দিয়েছে অনেক কিছুই। স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয় না। কলেজের ক্যাম্পাসে পা না রেখেই কেটে যাচ্ছে মাসের পর মাস। তার মধ্যেই চলছে লেখাপড়া। এভাবেই স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়েছে একদল পড়ুয়া। এবার জলে না নেমে সাঁতারও শিখতে অভ্যস্ত হচ্ছে তারা।

Advertisement

এ শহরের বহু স্কুলেই এখন পাঠ্যক্রমের অঙ্গ সাঁতার ও নানা ধরনের খেলাধুলা। অতিমারির পরে প্রথম কিছু দিন সে সব ক্লাস বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এখন ধীরে ধীরে ইংরেজি-অঙ্ক ক্লাসের পাশাপাশি খেলা, ব্যায়াম, আঁকার ক্লাস চালু হয়েছে। অনলাইনেই। সেখানে এসেই ভিডিয়ো চালু করে সব ধরনের শিক্ষা নিচ্ছে পড়ুয়ারা।

কী ভাবে হচ্ছে সাঁতার শেখা?

Advertisement

স্কুল বিশেষে পদ্ধতি এক-এক রকম। কোথাও জলে সাঁতার কাটতে নামার আগে যে সব ব্যায়াম করতে হতো, তা-ই প্রতি সপ্তাহে অল্প অল্প করে শেখানো হচ্ছে। কোথাও আবার শেখানো হচ্ছে জলে নেমে হাত চালানোর নানা ভঙ্গি। তবে হাত চলছে জলের পরিবর্তে চার দেওয়ালে বন্দি হয়ে হাওয়ার মধ্যেই।

এভাবে সাঁতার শিখতে কি ভাল লাগছে?

দক্ষিণ কলকাতার এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রী অর্কজা সাহা। এখন পঞ্চম শ্রেণি। জানাচ্ছে, সাঁতারের ক্লাস করতে তার সব বন্ধুরাই ভালবাসে। ‘‘তবে নতুন কিছু শেখা হচ্ছে না। তাই একটু মন খারাপ হয়,’’ বলে সে। আর একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া রিয়া হালদারের আবার এমনটা বেশ লাগছে। বলে, ‘‘জলে নামতে ভয় করে। এরকম সাঁতারের ক্লাসই ভাল।’’

অভিভাবকেরা অবশ্য এ নিয়ে বেজায় মশকরা করছেন। অর্কজার মা সুলগ্নার প্রশ্ন, ‘‘দু’বছর পরে যখন ওরা জলে নামবে, তখন এই শিক্ষা কাজে লাগবে তো?’’ আর এক অভিভাবক ঋতম সেনের চিন্তা, এভাবে কম্পিউটারের সামনে হাত-পা নেড়ে আমার ছেলে যদি ভেবে বসে যে সাঁতার জানে, কী যে হবে!’’

উত্তর কলকাতার এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের খেলার শিক্ষক অমিতাভ রায় অবশ্য এই উপায়ে সাঁতার শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘শিশুদের সার্বিক শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় সব স্কুলেই। শরীরচর্চা এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’’ বিশেষ করে যখন সব শিশুই বাড়িতে বসে দিন কাটাচ্ছে, অন্তত কম্পিউটারে সাঁতার শেখার জন্যও যদি একটু হাত-পা নড়াচড়া হয়, তবে সুস্থ থাকতে সাহায্যই হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন