কেউ রাতে বারবার শৌচাগারে যাচ্ছেন। কারও আবার মূত্রের সঙ্গে রক্ত বেরোচ্ছে। উপসর্গ মিলছে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে চিকিৎসা শুরু করতেই অনেকটা দেরি হয়ে যাচ্ছে।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বার্ধক্যের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ে প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি। ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’-এর সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট জানাচ্ছে, প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্তের নিরিখে কলকাতা দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষেরই সচেতনতা নেই। যার জেরে প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসা শুরু হয় না বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই। ওই আলোচনায় চিকিৎসকেরা জানান, পঞ্চাশ বছর বয়সের পরে প্রতি বছর এক বার করে শারীরিক পরীক্ষা করানো দরকার। তা হলে প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কতটা, তা বোঝা যায়।
চিকিৎসক অমিত ঘোষ জানান, অধিকাংশ সময়ে রোগ দেহের একাধিক অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ার পরে রোগী চিকিৎসার জন্য যান। তখন দেরি হয়ে যায়। প্রস্টেট ক্যানসারের চিকিৎসা ঠিক সময়ে শুরু করলে সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব বলে জানান চিকিৎসক অসীমকুমার দত্ত।
আলোচনায় ছিলেন প্রস্টেট ক্যানসারে ভুক্তভোগী সুপ্রিয় হালদার। তিনি জানান, সচেতনতার অভাব ছাড়াও, অস্ত্রোপচার নিয়ে আতঙ্ক থাকে রোগীদের। তাই অনেক সময়ে চিকিৎসা শুরু করাতে গড়িমসি করেন তাঁরা। তবে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, রোবটিক সার্জারির মাধ্যমে নিখুঁত অস্ত্রোপচার করা যায়। পাশাপাশি, ঝুঁকিও কমে গিয়েছে। ওই পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার হলে কয়েক মাসের মধ্যেই সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব।