সময়টা সোশ্যাল মিডিয়ার। অথচ এই সময়েরই সবচেয়ে বড় সমস্যা একাকীত্ব। আর সেই একাকীত্বের শিকার সবচেয়ে বেশি হচ্ছে কিশোর প্রজন্ম। বয়ঃসন্ধিতে অবসাদ কেড়ে নিচ্ছে তাদের ঘুম, কমিয়ে দিচ্ছে ঘুমের মান।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের ১৮-১৯ বছর বয়সী ২,২৩২ জন কিশোর-কিশোরীকে নিয়ে এই গবেষণার পর লন্ডনের কিংস কলেজের গবেষকরা বলছেন, ‘‘যেই সব কিশোর-কিশোরীরা একাকীত্বে ভোগে তারা রাতে ঘুম না হওয়ার কারণে অন্যদের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি ক্লান্ত অনুভব করে ও দিনের কাজে ঠিক ভাবে মনোনিবেশও করতে পারে না। রাতে ঘুম আসতে দেরি হওয়া, কম ঘুম হওয়া ও ঘুমের মাঝে ব্যাঘাত ঘটার ফলে দিনের বেলাও তাদের ঘুম পেতে থাকে। যা স্বাভাবিক ভাবেই ডেকে আনে ক্লান্তি।’’
ওই কলেজের অধ্যাপক লুই আর্সেনঁ জানান, এই সমস্যা কিন্তু খুবই গুরুতর। একাকীত্বে ভোগা ও রাতে ঘুম না হওয়ার ফলে এদের মনে নেতিবাচক চিন্তা ভি়ড় করে আসে। কিশোর বয়সেই যদি এই সমস্যার সমাধান না করা হয় তা হলে পরবর্তী কালে তা হয়ে উঠতে পারে গভীর অবসাদের কারণ।
যারা শৈশব ও কৈশোরে কোনও হিংসা, অপরাধ, যৌন হেনস্থার শিকার হয় তাদের মধ্যে একাকীত্ব ও অনিদ্রায় ভোগার প্রবণতা ৭০ শতাংশ বেড়ে যায় বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। এরা সারা জীবনই নিরাপত্তার অভাবে ভুগতে থাকে। এবং যে কোনও রকম স্ট্রেসের মোকাবিলা করার ক্ষমতাও হারায়। এই নিরাপত্তাহীনতাই তাদের ঘুম কেড়ে নেয় বলে জানিয়েছেন কিংস কলেজের অন্য এক অধ্যাপক টিমোথি ম্যাথ্যু।
আরও পড়ুন: বাবা হতে পারছেন না? রাতে ঘুমোতে যান তাড়াতাড়ি
শুধু ইংল্যান্ডে নয়, এই সমস্যা সারা বিশ্বের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যেই ক্রমশ বেড়ে চলেছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। সাইকোলজিক্যাল মেডিসিন জার্নালে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।