Best Productivity Hack

কাজ নিয়ে নাকানিচোবানি খান? ব্যস্ত জীবনে নির্ভুল কাজের উপায় বাতলালেন মাধুরীর চিকিৎসক স্বামী

দিনভর ব্যস্ততায় নাভিশ্বাস উঠছে। কাজ যতই থাক, ঠান্ডা মাথায় তা সামলে, সুষ্ঠু ভাবে কর্মসম্পাদনের পন্থা শেখালেন অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের শল্যচিকিৎসক স্বামী শ্রীরাম নেনে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৫ ১৬:০০
Share:

অজস্র কাজ থাকলেও ভুল হবে না কোনওটি। কী উপায় বলছেন মাধুরী দীক্ষিতের স্বামী শ্রীরাম নেনে।

ব্যস্ত শল্যচিকিৎসক তিনি। কার্ডিয়ো থোরাসিক সার্জন। সকালে থেকেই শুরু হয়ে যায় চাপ। দিনভরই প্রচুর কাজ থাকে। সেই কাজই অনায়াসে সামলে নেন অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের স্বামী শ্রীরাম নেনে। কিন্তু কী ভাবে? ব্যস্ত দিনে হাজারো কাজের ঝক্কি সহজে সামলে নেওয়ার কৌশল বাতলালেন তিনি।

Advertisement

ব্যস্ততা শুধু পেশাগত ক্ষেত্রেই থাকে, এমন নয়। যিনি সংসার, সন্তান সামলান তাঁকেও একই সঙ্গে একাধিক কাজ করতে হয়। আর পরিবার, পেশাগত দিক একসঙ্গে সামলাতে হলে সেই চাপ হয় আরও বেশি। অনেকেই বলেন, একসঙ্গে একাধিক কাজ করার অভ্যাসই নাকি সময় বাঁচায়।

তবে শ্রীরাম বলছেন, ‘‘শল্যচিকিৎসক হিসাবে আমায় একাধিক কাজ করতে হয়। কিন্তু একসঙ্গে সব কাজ নয়, বরং একটার পর একটা কাজ করি। একই সঙ্গে যে কাজ যখন করা হচ্ছে, তাতেই সম্পূর্ণ মনোযোগ দিলে গোটা দুনিয়া ভুলে যাওয়া যায়। আর এটাই সাফল্যের চাবিকাঠি।’’

Advertisement

‘মাল্টিটাস্কিং’ বা একসঙ্গে একাধিক কাজ করার কথা প্রায়শই শোনা যায়। যেমন, অনলাইনে অফিসের মিটিং করতে করতেই মেল দেখা, কোনও প্রজেক্ট বানানো। অর্থাৎ একই সময়ে একজন মানুষ একাধিক কাজ করছেন। কিন্তু সেই কাজের কথা বলছেন না নেনে। তিনি জোর দিচ্ছেন ‘সিরিয়াল সিক্যোয়েনশিয়াল টাস্কিং’-এ যেখানে পর পর কাজ করতে হয়। কোনটির পর কোনটি করতে হবে, তা নির্দিষ্ট হতে পারে। কিন্তু এক সময়ে একটি কাজেই মন দিতে হয়। মাধুরীর স্বামীর যুক্তি, এতে যেমন নির্ভুল কর্ম সম্পাদন সম্ভব, আবার ব্যস্ততার সময় মাথাও ঠিক রেখে কাজ করা যায়।

নেনের পন্থা কতটা কাজের?

অনেকেই বলেন, একসঙ্গে একাধিক কাজ করলে সময় বাঁচে। কর্ম সম্পাদন সহজ হয়ে যায়। যেমন অফিসের জরুরি কথা বলতে বলতেই ই-মেল দেখতে শুরু করলে, একসঙ্গে দু’টি কাজই হবে। আবার ফোনে কথা বলতে বলতে কাপড় ভাঁজ করছেন, রান্না দেখছেন মাঝেমধ্যে গিয়ে— এতে কিন্তু মনঃসংযোগ ক্রমাগত এদিক-ওদিক হতে থাকে। তার ফলেই হয়তো দেখা গেল, ফোনে জরুরি কথা বলতে ভুলে গেলেন কিংবা রান্নায় নুনটাও ঠিক হয় না। এতে সময় বাঁচলেও ভুলভ্রান্তির আশঙ্কা রয়ে যায়। কিন্তু একই সময়ে সুনির্দিষ্ট কাজ করলে, সমস্ত মনোযোগ সেখানে দেওয়া যায়। নির্ভুল ভাবে কর্ম সম্পাদন সম্ভব হয়, মাথা ঠান্ডা থাকে। সমস্ত কাজ তালগোল পাকিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। একই সঙ্গে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।

নেনের যুক্তিতে সিলমোহর দিচ্ছেন মুম্বইয়ের এক হাসপাতালের মনোরোগের চিকিৎসক সন্তোষ বাঙ্গর। তিনি জানাচ্ছেন, কোনটার পর কোন কাজ করতে হবে, স্থির করে এক সময়ে একটি কাজ করার পন্থাকে মনোবিজ্ঞানও সমর্থন করে। একই সঙ্গে একাধিক কাজ করতে গেলে যে ভুলভ্রান্তি হতে পারে, তা এই পন্থায় এড়ানো সহজ হয়। এই কৌশলে যেমন মনঃসংযোগের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, তেমনই মস্তিষ্কে কম চাপ পড়ে।

কী ভাবে শ্রীরামের পন্থা দৈনন্দিন জীবনে যুক্ত করবেন?

· ব্যস্ত দিনে কাজের তালিকা তৈরি করে নিন।

· গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি সময় অনুযায়ী ভাগ করে নিলে সুবিধা হবে।

· যে কাজটাই করবেন, মন দিয়ে করুন। মন বিক্ষিপ্ত হয়, এমন আবহ থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন।

· একটি বড় কাজ সমাধার পর স্বল্প সময়ের জন্য হলেও বিরতি জরুরি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement