Social Media Star

অন্তর্বাস পরে সমাজমাধ্যমে ছবি দিয়ে বিপাকে মডেল, বহিষ্কার করা হল কলেজ থেকে

পর্ন হাবে ছোট পোশাকে ছবি দিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের রোষের মুখে জনপ্রিয় মডেল। কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হল তাঁকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সিডনি শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৩ ১৮:১৮
Share:

স্বল্পবসনায় উষ্ণতা ছড়ানো ছবি দিলে কয়েক মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত।

সমাজমাধ্যমে অনুরাগীর সংখ্যা দু’লাখ ছুঁইছুঁই। তাঁকে এক বার সামনে থেকে দেখার জন্য মরিয়া অনুরাগীরা। সমাজমাধ্যমে খোলামেলা ছবি দিয়ে পুরুষ হৃদ্‌য়ে ঝড় তোলেন তিনি। শুধু পুরুষ নন, মহিলারাও তাঁকে পছন্দ করেন। ‘ওনলি ফ্যানস’ নামক পর্ন হাবেও তিনি সক্রিয়। সেখানে তিনি স্বল্পবসনায় উষ্ণতা ছড়ানো ছবি দিলে কয়েক মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এই শরীর উন্মুক্ত পোশাক পরে সমাজমাধ্যমে ছবি দেওয়ার কারণেই কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হল ২৩ বছর বয়সি মডেল জুলিয়া আলবার্টকে।

Advertisement

জুলিয়া আইনের ছাত্রী। পড়াশোনার পাশাপাশি সমাজমাধ্যমে যে কর্মকাণ্ড করেন তিনি, সে ব্যাপারে জুলিয়ার সহপাঠীরা অবগত থাকলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে অবগত ছিলেন না। কয়েক দিন আগে ইনস্টাগ্রামের পাতায় নিজের একটি ছবি দিয়েছিলেন জুলিয়া। তার পর থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। ছবিতে জুলিয়ার পরনে পোশাক বলতে শুধুই অন্তর্বাস। শরীরের বেশির ভাগটাই উন্মুক্ত। সেই ছবি যখন ভাইরাল হওয়ার পথে, সেই সময়ে এক দিন কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জরুরি তলব পান জুলিয়া। সেই ছবিটি দেখিয়ে জুলিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হয়, এটিই তিনি কি না? সমাজমাধ্যমে যেহেতু জুলিয়া অন্য নামে পরিচিত, ফলে প্রাথমিক দ্বন্ধ তৈরি হয়েছিল। জুলিয়া স্বীকার করেন যে এটি তাঁরই ছবি। তার পরেই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।

২০২১ সালে এই পেশায় আসেন জুলিয়া। অল্প দিনেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। সমাজমাধ্যমে তিনি কোনও ভিডিয়ো কিংবা ছবি পোস্ট করলে মুহূর্তের মধ্যে বহু মানুষ তা দেখে ফেলতেন। আর্থিক স্বচ্ছলতাও তৈরি হয়। প্রতি মাসে জুলিয়া প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা রোজগার করতেন। তবে জুলিয় চাকরিও করতে চেয়েছিলেন। সে কারণেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিছু দিন পরেই ক্যাম্পাসিং হওয়ার কথা ছিল। নতুন কাজের সুযোগ নিয়ে বেশ উত্তেজিত ছিলেন তিনি। কিন্তু তার আগেই কলেজ ছাড়তে হল তাঁকে। তবে তিনি চাইলে অবশ্য নতুন করে পড়াশোনা শুরু করতে পারেন। জুলিয়া অবশ্য বলেন, ‘‘কলেজের বাইরে আমি কী করব, সেটা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত বিষয়। এই কাজগুলি করেই আমি নিজের বাড়ি কিনেছি। বাবা, মাকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করি। ছোট ভাইবোনেরও খরচ চালাই। কোনও মূল্যেই আমি আমার কাজ বন্ধ করব না।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন