বসিরহাট হাসপাতালে চালু হচ্ছে এমআরআই

বসিরহাট জেলা হাসপাতালকে ঢেলে সাজায় উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে হাসপাতালটিতে এসএনসিইউ (সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট), আইসিইউ (ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট) এবং ডায়ালিসিস বিভাগ খোলা হয়েছে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক মনমীত নন্দা, সাংসদ ইদ্রিশ আলি, বিধায়ক এটিএম আবদুল্লা রনি, মহকুমাশাসক শেখর সেন, জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায়, সুপার শ্যামল মণ্ডল এবং বসিরহাট থানার আইসি গৌতম মিত্র এবং চিকিৎসক ও নার্সদের উপস্থিতিতে এক বৈঠক হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৫ ০৩:২৯
Share:

বসিরহাট জেলা হাসপাতালকে ঢেলে সাজায় উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে হাসপাতালটিতে এসএনসিইউ (সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট), আইসিইউ (ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট) এবং ডায়ালিসিস বিভাগ খোলা হয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক মনমীত নন্দা, সাংসদ ইদ্রিশ আলি, বিধায়ক এটিএম আবদুল্লা রনি, মহকুমাশাসক শেখর সেন, জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায়, সুপার শ্যামল মণ্ডল এবং বসিরহাট থানার আইসি গৌতম মিত্র এবং চিকিৎসক ও নার্সদের উপস্থিতিতে এক বৈঠক হয়। সেখানে হাসপাতালের জন্য ২৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া সিটি স্ক্যান, এমআরআই (ম্যাগনেটিক রেসোনেন্স ইমেজিং), ডিজিটাল এক্স-রে পরিষেবা চালু করা-সহ একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে সাংসদ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসিরহাট জেলা হাসপাতালকে ঢেলে সাজাতে আগ্রহী। সে কারণেই হাসপাতালে কী কী প্রয়োজন তা খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন জেলাশাসক।’’ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়াতে হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে পুলিশ চৌকি করা হবে বলেও জানান তিনি। হাসপাতালে দুষ্কৃতী-রাজ এবং দালাল চক্রকে কোনও ভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না বলেও দাবি করেছেন সাংসদ। হাসপাতালের উন্নতির জন্য সাংসদ তহবিল থেকে ৮ লক্ষ দিয়েছেন বলে জানান ইদ্রিশ।

Advertisement

বিধায়ক বলেন, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গরিব মানুষের জন্য অল্প খরচে ওষুধ এবং চিকিৎসার সুবিধা দিতে চান। সে জন্যই নানা পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’’ তিনিও বিধায়ক তহবিল থেকে হাসপাতালের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বস দিয়েছেন। হাসপাতালের সুপার বলেন, ‘‘হাসপাতালের মধ্যে যাতে দ্রুত ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরি করা যায়, তা দেখছেন জেলাশাসক। এই প্লান্টের মাধ্যমে কেবল হাসপাতালের রোগী, চিকিৎসক, নার্স নয়, এলাকার বাসিন্দাদেরও পানীয় জলের সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন