Life style news

যত ক্ষণ থাকবেন এ বার তত ঘণ্টারই ভাড়া দিন হোটেলে

যতটা খাবেন, ততটাই দাম দেবেন। এমন নিয়ম আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ক’দিন আগে এমনটাই জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, খাওয়া খরচে সে নিয়ম লাগু হওয়ার আগেই থাকা খরচ নিয়ে নয়া নিয়ম এসে গেল বাজারে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৭ ১৫:০৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

যতটা খাবেন, ততটাই দাম দেবেন। এমন নিয়ম আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ক’দিন আগে এমনটাই জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, খাওয়া খরচে সে নিয়ম লাগু হওয়ার আগেই থাকা খরচ নিয়ে নয়া নিয়ম এসে গেল বাজারে। এ বার আপনি থাকা খরচটা ইচ্ছা অনুযায়ী বাড়াতে-কমাতে পারেন। কারণ, দিনের হিসাবে না গিয়ে এ বার ঘণ্টার হিসাবে হোটেলে থাকার পরিষেবা চালু করেছে কয়েকটি হোটেল সংস্থা। তাতে পুরো দিনের পরিবর্তে যতটা সময় আপনি হোটেলে থাকবেন, তত ঘণ্টারই বিল মেটাতে হবে আপনাকে।

Advertisement

খদ্দেদের চাহিদা মতো খাবার বেচতে হবে রেস্তোরাঁকে। সম্প্রতি মন কি বাত অনুষ্ঠানে বিল এনে এই নিয়ম চালু করতে চান বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাতে এক দিকে যেমন খাবার নষ্ট হবে না, তেমনই কম খেয়ে বেশি টাকা গুণতে হবে না খদ্দেরকে। অনেকটা একই সমস্যার মুখে পড়তে হয় বেড়াতে গিয়ে। হোটেলের চেক ইন এবং চেক আউটের সময় নিয়ে। সে দিকটা মাথায় রেখেই এই উপায় আনা হয়েছে।

কী রকম?

Advertisement

ধরুন আপনার ট্রেন আসতে এখনও তিন ঘণ্টা দেরি আছে। অথচ প্রচণ্ড গরমে স্টেশনে অপেক্ষা করতে মন চাইছে না। সে ক্ষেত্রে ইচ্ছা করলেই আপনি মাঝের এই তিন ঘণ্টা কোনও হোটেলে থেকে বিশ্রাম নিতে পারেন। আর তার জন্য পুরো দিনের বদলে ওই তিন ঘণ্টারই বিল দিতে হবে। বা যদি আপনার ভ্রমণের মাঝে কোথাও কয়েক ঘণ্টার জন্য বিশ্রাম নিতে চান, তা-ও করতে পারেন।

আরও পড়ুন: ‘রাষ্ট্রপতি তো মাঠে ছাগল চরাতে গিয়েছেন!’

ফ্রোটেল, মিসটে, ৯ টু ৫ ডট কম এবং ফ্রেসআপ এই অনলাইন হোটেল বুকিং সংস্থাগুলির সঙ্গে বিভিন্ন বাজেটের হোটেল যুক্ত রয়েছে। এই সমস্ত অনলাইন বুকিং সংস্থা থেকেই বুক করে নিতে পারেন পছন্দের হোটেল। তবে এখনও সব জায়গায় এই পরিষেবা চালু হয়নি। কোন কোন জায়গায় এই সার্ভিস পাওয়া যাবে তা ওই অনলাইন বুকিং সংস্থা ওয়েবসাইটেই জানা যাবে।

সবচেয়ে আগে এই ব্যবস্থা আনা সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার দেবীন্দর কুমার বলেন, ‘‘আমরা দেখেছি ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রেই পর্যটকেরা হোটেলে এসে পৌঁছন সন্ধ্যায় আর সাত সকালেই রুম ছেড়ে দেন। কিন্তু তার জন্য তাঁদের পুরো দিনের টাকা দিতে হয়। সে দিকটা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত।’’ রেলওয়ে স্টেশন, এয়ারপোর্ট এবং মন্দিরের কাছাকাছি হোটেলগুলিতেই এই ধরনের সার্ভিসের প্রয়োজনীয়তা বেশি বলে তিনি জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন