জীবনকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ভাল আছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী। ছবি : সংগৃহীত।
সেই অর্থে বলিউডের গ্ল্যামারাস তারকা না হলেও তাঁর পরিচিতি আর জনপ্রিয়তা কোনও তারকার চেয়ে কম নয়। এমনকি, পর্দাতেও যখন পঙ্কজ ত্রিপাঠী তাঁর তথাকথিত তারকা সহকর্মীদের পাশে দাঁড়ান, তখন সব ছেড়ে তাঁর দিকেই চোখ আটকায় দর্শকের। ব্যক্তিত্ব হোক বা ‘স্ক্রিন প্রেজ়েন্স’— তারকাদের থেকে কোনও অংশে আলাদা নন তিনি। অথচ তিনি তারকাদের মতো দ্রুতগতির জীবনে বিশ্বাস করেন না। এ ব্যাপারে তাঁর জীবনবোধ চেনা বলিউডি জীবনযাপনের থেকে অনেকটাই আলাদা। পঙ্কজ মনে করেন, দৌড়োনো নয়, থামতে জানাই জীবন।
সম্প্রতি পঙ্কজ তাঁর এই জীবনবোধ নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি সব সময় কাজের থেকে জীবনকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন এবং তার জন্য তাঁর কোনও ক্ষতি হয়নি। বরং তিনি ভালই আছেন। পঙ্কজ বলছেন, ‘‘আমি এই প্রথম বার এই নিয়ে কথা বলছি। কেউ জানেই না যে, গত এক বছরে আমি কোনও কাজই করিনি। করার মতো কোনও কাজ পছন্দ হয়নি। কিন্তু তা বলে আমি ঘোষণা করিনি যে আমি কাজ থেকে একটা ছোট ব্রেক নিচ্ছি। আমি কাউকে কিচ্ছুটি বুঝতে না দিয়ে আরাম করে জীবনের গাড়ির পিছনের সিটে সওয়ার হয়েছি। নিজের মনকে চেনার এবং বোঝার চেষ্টা করেছি। শরীরকেও ভাল রাখার জন্য, সারিয়ে তোলার জন্য যা যা করার দরকার করেছি। এখন যে আমাকে দেখছেন, সেই মানুষটি আগের থেকে মানসিক এবং শারীরিক ভাবে অনেক ফিট!’’
‘‘সবাইকে বলেছি, একেবারে সময় নেই হাতে। কিন্তু হাতে অনেক সময় ছিল। আর সেই সময় ছিল নিজের জন্য।’’ বলছেন পঙ্কজ। ছবিতে স্ত্রীর সঙ্গে। ছবি: সংগৃহীত।
যে কাজ করতে ভালবাসেন, যে কাজ দীর্ঘ দিন ধরে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে থেকেছে, তা হঠাৎ আর না থাকলে মনখারাপ, দুশ্চিন্তা, হতাশা হওয়া স্বাভাবিক। অনেকের জীবনেই এমন সময় এসেছে এবং সেই সময়ে হতাশার শিকারও হয়েছেন কেউ কেউ। কিন্তু পঙ্কজ ওই ফাঁকা সময় কাজে লাগিয়েছেন। তিনি বলছেন, ‘‘ওই সময়ে আমরা বেড়াতেও গিয়েছি। কাজের চাপে বহু দিন ধরে এটা হয়ে উঠছিল না। কিন্তু হাতে সময় পেয়ে বিদেশ ঘুরে নিলাম। ১৫ দিনের জন্য আমার দেশের বাড়ি থেকেও ঘুরে এলাম। ভাল লাগল।’’
পঙ্কজ জানিয়েছেন, ওই সময় তিনি নিজের স্বাস্থ্য ফেরানোর জন্য শরীরচর্চাতেও মন দিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘ওই সময়ে আমি সপ্তাহে ছ’দিন আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা শরীরচর্চা করেছি। কাজ একেবারে করিনি তা নয়, মাঝেমধ্যে দু’-একটা বিজ্ঞাপন করেছি। আর আমার আগের সিনেমা ‘মেট্রো... ইন দিনো’র কিছু বাকি থাকা কাজও করেছি। কিন্তু ওই পর্যন্তই। শেষের দিকে আমার হাতে কাজ আসতে শুরু করেছিল। আমি ইচ্ছে করেই নিইনি। সবাইকে বলেছি, একেবারে সময় নেই হাতে। কিন্তু হাতে অনেক সময় ছিল। আর সেই সময় ছিল নিজের জন্য।’’