নির্দিষ্ট সময়ের আগে জন্ম, জন্মের সময় অতিরিক্ত কম ওজন ভবিষ্যতে নানা শারীরিক সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে। এই তথ্য অজানা নয়। তবে চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, প্রি-ম্যাচিওর বার্থ শুধুই শারীরিক নয়, ডেকে আনতে পারে নানা রকমের মানসিক সমস্যাও। কানাডার ওন্টারিওর ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির গবেষক কারেন ম্যাথিউসন বলেছেন, জন্মের সময় কম ওজন থাকলে পরে মানসিক গঠনের পথে তা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এই ধরনের শিশুরা মনযোগের অভাব, উত্কণ্ঠাজনিত সমস্যার পাশাপাশি কিছু সামাজিক সমস্যাতেও ভোগে।
আরও পড়ুন: জেনে নিন ১০ আঘাতের কিছু প্রাথমিক চিকিত্সা
শেষ এক দশকে নিওন্যাটাল ইনটেনসিভ কেয়ার উন্নত হওয়ার ফলে জন্মের সময় এক কেজির কম ওজনের শিশুদেরও বাঁচানো সম্ভব হয়। টানা ২৬ বছর (১৯৯০-২০১৬) ধরে ১২টি দেশে মোট ৪১টি পরীক্ষা চালান ম্যাথিউসন ও তাঁর দল। ২,৭১২ জন প্রি-ম্যাচিওরড শিশুর পাশাপাশি ১১,১২৭ জন শিশুকে নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়। দ্বিতীয় দলের শিশুদের প্রত্যেকেরই জন্মের সময় ওজন স্বাভাবিক ছিল। সাইকোলজিক্যাল বুলেটিন জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, জন্মের সময় যাদের ওজন অতিরিক্ত কম থাকে তাদের মধ্যে শৈশব থেকেই মানসিক সমস্যায় ভোগার প্রবণতা দেখা দেয়। যার রেশ চলতে পারে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত। এদের মধ্যে ছোটবেলায় অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভ ডিজঅর্ডার বা এডিএইচিডি-তে ভোগার হারও অত্যন্ত বেশি। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও এদের মধ্যে উত্কণ্ঠা, অবসাদে ভোগার প্রবণতা দেখা যায়।