সমস্যার কথা জানালেন মনোরোগীরাই

হাসপাতালের মাঠে মঞ্চ গড়ে চলছে বিতর্ক — ‘‘জোর করে হাসপাতালে ভর্তি করলে লাভ হয় মানসিক রোগীদের।’’ পক্ষে বক্তাদের মধ্যে হাসপাতাল সুপার গণেশ প্রসাদ, বিপক্ষে সেখানে চিকিৎসাধীন রোগিনী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৫ ০০:৩৩
Share:

হাসপাতালের মাঠে মঞ্চ গড়ে চলছে বিতর্ক — ‘‘জোর করে হাসপাতালে ভর্তি করলে লাভ হয় মানসিক রোগীদের।’’ পক্ষে বক্তাদের মধ্যে হাসপাতাল সুপার গণেশ প্রসাদ, বিপক্ষে সেখানে চিকিৎসাধীন রোগিনী। সুপার যখন বললেন, চিকিৎসার স্বার্থে রোগীর ইচ্ছের বিপক্ষে গিয়েও ভর্তি করা জরুরি, তখন রোগিনী, প্রশ্ন করলেন, ‘‘কিন্তু রোগীর জন্য হাসপাতাল কি ভাল? শৌচাগার এত নোংরা কেন?’’ এক রোগী প্রশ্ন করলেন, ‘‘চিকিৎসা যদি হয়, তা হলে ১০-১৫ বছর পরেও কেন হাসপাতালে থেকে যায় রোগীরা? বাড়ির লোকের হাতে দেহ তুলে না দিয়ে জীবিত মানুষকে তুলে দেওয়া যায় না?’’

Advertisement

মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে এমনই সওয়াল-জবাব শুনল পাভলভ মানসিক হাসপাতাল। ১৪ বছর আগে তামিলনাড়ুর এড়ওয়ারিতে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় শিকলবন্দি ২৮ মনোরোগীর। তাঁদের স্মরণে এ দিনের ছিলেন চিকিৎসক, শিক্ষক, সমাজকর্মী, চিকিৎসাধীন রোগীরা। মনোরোগীদের নিয়ে সমাজের মনোভাব নিয়ে বলতে গিয়ে যখন শব্দ হাতড়াচ্ছিলেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক, এক রোগী ধরিয়ে দিলেন— ‘‘অকেজো।’’ আবার রোগীরা খেই হারালে পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন ‘অঞ্জলি’ সংস্থার কর্মীরা। বিতর্কের পর ভোটাভুটিতে প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেল। ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেউ ভর্তি হতে চান না হাসপাতালে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন