প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।
সন্তানকে বড় করে তোলার পথে বাবা-মায়েদের থেকেই খুদে শিখতে শুরু করে। পারিবারিক রীতিনীতি থেকে শুরু করে নানা ধরনের অভ্যাসও ছোটরা বড়দের থেকে আয়ত্ত করে। তবে কয়েকটি অভ্যাস তাদের না শেখানোই ভাল। অন্যথায় ভবিষ্যতে আগামী প্রজন্মের ক্ষেত্রেও তারা একই ভুল করবে। এই অভ্যাসগুলিকে আবার অনেক সময়েই বাবা-মায়েরা ‘সঠিক’ বলে ধরে নেন।
১) সন্তানের যদি বাধ্য হয় বা কোনও নির্দেশ পালন করে, তা হলে পুরস্কার হিসেবে অনেকেই তাদের খাবার দিয়ে থাকেন। এই অভ্যাসের ফলে সময়ের সঙ্গে ছোটদের খাবারের ধরন বদলে যেতে পারে। অতিরিক্ত খাবারে সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।
২) বর্তমান সময়ের ছোটরাও সব সময়ে ব্যস্ত। পড়াশোনা, খেলাধুলো ছাড়াও নানা কাজ থাকে তাদের। ছোটদের ক্ষেত্রে প্রতি দিন ব্যস্ত রুটিন তৈরি করা উচিত নয়। অর্থাৎ সকাল থেকে রাত সন্তান যদি বিভিন্ন ক্লাস এবং প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকে, তা হলে তার নিজের সময় আর থাকে না। অথচ বাবা-মায়েরা বিষয়টা অনেক সময়েই উপেক্ষা করেন।
৩) সন্তান যদি সংবেদনশীল হয় বা আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়, তা হলে বড়রা অনেক সময়ে তা মেনে নিতে পারেন না। কিন্তু পুরুষ মাত্রেই কাঁদবে না বা মেয়েদের ঘরকন্নার কাজ শিখতেই হবে— এই ধরনের ভাবনা থেকে বাবা-মায়েদের বেরিয়ে আসা উচিত। সন্তানকে তার আবেগ চেপে রাখতে শেখানো উচিত নয়।
৪) ছোটদের মন সহজেই ভেঙে যেতে পারে। তাই তাদের সঙ্গে বুদ্ধি করে মিশতে হয়। ছোটদের সমসায়মিক অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে তুলনা করা উচিত নয় তার ফলে তাদের মনের উপর চাপ তৈরি হয়। অথচ একটি বড় অংশের অভিভাবকেরা সেটাই করে থাকেন।
৫) ছোটদের ‘স্ক্রিন টাইম’ নিয়ে প্রতিনিয়ত চর্চা চলছে। বেশি ক্ষণ মোবাইল বা ট্যাব ব্যবহারে তাদের যে চোখের ক্ষতি হয়, তা প্রমাণিত। তার জন্য বহু বাবা-মা অনেক সময়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখেন। তার ফলে সন্তান প্রয়োজনীয় স্কিল শিখতে পারবে না। বরং তাদের স্ক্রিন টাইম বেঁধে দেওয়া উচিত।