প্রতীকী চিত্র। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
দিনের একটা বড় সময় মোবাইল বা ট্যাবলেট ব্যবহার করে ছোটরা। তার ফলে অল্প বয়সেই তাদের দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হচ্ছে। অনেক সময়ে তারা মায়োপিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। ছোটদের ‘স্ক্রিন টাইম’ নিয়ন্ত্রণে রাখলেও, সম্পূর্ণ রূপে তাদের ডিজিটাল পর্দা থেকে দূরে রাখা সম্ভব নয়। তাই অল্প বয়স থেকেই তাদের চোখের যত্নকে মাথায় রেখে ডায়েট তৈরি করা প্রয়োজন। পাশাপাশি, ছোটদের ‘স্ক্রিন টাইম’ কমানোর জন্য বাবা মায়েরা কয়েকটি কৌশল অনুসরণ করতে পারেন।
১) দিনের মধ্যে ২ ঘণ্টা প্রাকৃতিক আলোয় থাকলে মায়োপিয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমতে পারে। কারণ সূর্যালোকে থাকলে রেটিনা থেকে যে ডোপামিন নির্গত হয়, তা মায়োপিয়ার সম্ভাবনাকে রুখে দেয়। তার ফলে দৃষ্টিশক্তি ভাল থাকে।
২) এক দৃষ্টিতে বেশি ক্ষণ ডিজিটাল পর্দার দিকে ছোটদের তাকিয়ে থাকা উচিত নয়। পরিবর্তে তাদের এমন কোনও কাজে নিযুক্ত করা উচিত, যাতে তারা দূরের এবং কাছের কোনও বস্তুর দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে। তার ফলে স্বাভাবিক পদ্ধতিতেই তাদের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
৩) লেখাপড়ার সময়ে ছোটদের চোখ যেন খাতা বা বই থেকে ৩৫-৪০ সেন্টিমিটার দূরে থাকে, তা খেয়াল রাখা উচিত। বসার ভুল ভঙ্গি এবং ক্রমাগত ঘাড় নীচু করে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখে ক্লান্তি (অ্যাসথেনোপিয়া) ভিড় করে।
৪) সন্তানের চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে তার ডায়েটও নিখুঁত হওয়া উচিত। ছোটদের দৈনন্দিন ডায়েটে যেন ভিটামিন এ, জ়িঙ্ক এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, তা খেয়াল রাখতে হবে। এই পুষ্টি উপাদানগুলি ম্যাকুলার স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। রেটিনার স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে নিয়মিত সুষম আহার। তার ফলে ‘ড্রাই আইজ়’-এর মতো সমস্যা দূর হতে পারে।
৫) পাঁচ বছর বয়স থেকে ছোটদের বছরে অন্তত ১ বার চক্ষু পরীক্ষা করানো উচিত। তার ফলে কোনও সমস্যা হলে যথা সময়ে তা শনাক্ত করা সম্ভব।