প্রতীকী চিত্র। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
বর্তমান সময়ে ছোটদের জীবনের অনেকটা অংশ জুড়ে রয়েছে ডিজিটাল পর্দা। মোবাইল, ট্যাবলেট ছাড়াও রয়েছে টিভি বা কম্পিউটারের পর্দা। তার ফলে অনেকেরই দাবি, বর্তমান প্রজন্মের একটা বড় অংশ বই পড়ায় আগ্রহ হারাচ্ছে।
বই পড়ার মাধ্যমে ছোটদের চিন্তাশক্তি, কল্পনার বিকাশ ঘটে। পাশাপাশি, একাগ্রতা তৈরির ক্ষেত্রেও নিয়মিত বই পড়া উপকারী। বাবা-মায়েদের অভিযোগ, তাঁদের সন্তান বই পড়ায় আগ্রহ হারাচ্ছে। কিন্তু সহজেই ছোটদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করা যায়। তাদের জন্য কয়েকটি অভ্যাস তৈরি করা যেতে পারে।
১) সারা দিনের মধ্যে ১০ মিনিটও বই পড়ার অভ্যাস জীবন ও মনের বড় পরিবর্তন করতে পারে। তাই সারা দিনের ফাঁকা সময় বা রাতে শুতে যাওয়ার আগে সন্তানের সঙ্গে একসঙ্গে বই পড়ার উদ্যোগ নেওয়া উচিত। বড়দের কাছে গল্প শুনলেও ছোটরা বই পড়ায় আগ্রহী হতে পারে।
২) বই পড়ার জন্য পাঠযোগ্য পরিবেশের প্রয়োজন। তাই পড়ার ঘর থাকলে ভাল। সে ক্ষেত্রে ঘরটিকে আলো এবং রকমারি বই দিয়ে সাজানো যেতে পারে। পড়ার ঘর না থাকলে যে কোনও ঘরের একটি কোণে বই পড়ার জায়গা তৈরি করা যায়। সোফা বা চেয়ারে বসেও বই পড়া যায়। মনে রাখতে হবে, বই পড়ার উপযুক্ত পরিবেশ পেলে সন্তান আরও বেশি বইয়ের সঙ্গে সময় কাটাবে।
৩) অনেক সময়েই বয়স আন্দাজে বড়রা ছোটদের নানা ধরনের বই পড়ার জন্য বলপ্রয়োগ করতে করেন। পরিবর্তে ছোটদের নিজেদের পছন্দসই বই পড়তে দেওয়া উচিত। তা কমিকস হতে পারে বা তার পছন্দের কিশোর অভিযান কিংবা রূপকথা হতে পারে। পছন্দের বই পড়ার সুযোগ থাকলে গল্পের বইয়ের সঙ্গে তার আত্মিক যোগ তৈরি হবে।
৪) গল্পের বই ছোটদের পাঠ করে শোনানো যেতে পারে। মজার ছলে সেই গল্পের কোনো চরিত্রের কণ্ঠস্বর তৈরি বা অভিনয়ের ঢঙে কথনশৈলী তৈরি করতে পারলে, ছোটরা আরও বেশি আকৃষ্ট হবে। সময়ের সঙ্গে তাদের কথপোকথনের ধরনে পরিবর্তন আসে। পড়ার অভ্যাসের মধ্যে খেলার আভাস অনেক সময়েই বইয়ের সঙ্গে ছোটদের দূরত্ব কমিয়ে দেয়
৫) সন্তান যদি কয়েক পাতা বই পড়ে বা কোনও অধ্যায় শেষ করে, তা হলে তা উদ্যাপন করা উচিত। তাকে কোনও বুকমার্ক কিনে দেওয়া যেতে পারে। কখনও পরবর্তী বইয়ের জন্য পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। ছোটরা বই পড়ার পর, তাদের থেকে পাঠের অভিজ্ঞতা জানা যেতে পারে। তার ফলেও তদের মধ্যে পড়ার অভ্যাস বজায় থাকবে।