Rules to Tackle Rumour

গুজবের জবাবে মুখ বুজে থাকলে ফল উল্টোও হতে পারে! অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন অভিষেক বচ্চন!

তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা করতে ভালবাসেন অনেকেই। অধিকাংশ মানুষ তা উপভোগও করেন। তবে সমালোচনা বা উড়ো গুজবের শিকার একা তারকারা নন, সাধারণ মানুষও হন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৫ ১৭:১৪
Share:

অভিষেক বচ্চন মনে করেন, ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যের সমস্যা নিয়ে মুখ বুজে থেকে তিনি ভুল করেছেন। ছবি : সংগৃহীত।

কোনও গুণীজনে বলে গিয়েছিলেন, লোকের কথায় কান দিতে নেই। চোখ-কান বুজে নিজের কাজটা ঠিক করে করলেই সব সমালোচনার জবাব দেওয়া যায়। কিন্তু বিষয়টি যে ততটা সহজও নয়, তা নিজের জীবনে ঠেকে শিখেছেন বলিউড অভিনেতা অভিষেক বচ্চন। তিনি বলছেন, ‘‘সমালোচনার জবাবে মুখ বুজে থাকলেও তার ভুল অর্থ করা হতে পারে’’।

Advertisement

অভিষেক এবং ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের দাম্পত্যের সমস্যা নিয়ে বিগত এক বছর ধরে নানা গুজব রটেছে বিভিন্ন মহলে। যদিও তার জবাবে অভিষেক বা ঐশ্বর্যা মুখ খোলেননি কখনও। হয়তো ভেবেছিলেন, চুপ করে থাকাটাই সমস্যার সেরা সমাধান। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেই রণকৌশল সফল হয়নি। দিনের পর দিন নতুন নতুন গুজব ছড়িয়েছে। শেষে কিছুটা তিতিবিরক্ত হয়েই ওই উপলব্ধি হয়েছে অভিষেকের। তিনি তাঁর নীরবতা ভেঙে বলেছেন, ‘‘মুখ বুজে থাকলেও তোমার হাবভাব, অঙ্গভঙ্গির নানা রকম অর্থ করা হতে পারে। আর যাঁরা সমালোচক, তাঁরা তা করতেই থাকবেন। কারণ আড়ালে থেকে লোকের নিন্দা করা সহজ। কিন্তু যাঁর সম্পর্কে কথাগুলো বলা হচ্ছে, তাঁর জীবনটা তুমি দেখ‌‌োনি, তুমি বুঝবে না, প্রতিটা শব্দ তাঁর উপর কতটা প্রভাব ফেলছে।’’

অভিষেক এবং ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের দাম্পত্যের সমস্যা নিয়ে বিগত এক বছর ধরে নানা গুজব রটেছে বিভিন্ন মহলে। ছবি: রয়টার্স।

তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা করতে ভালবাসেন অনেকেই। অধিকাংশ মানুষ তা উপভোগও করেন। তবে সমালোচনার শিকার একা তারকারা নন, এক জন অতি সাধারণ মানুষও নানা ভাবে, নানা কারণে ক্ষতিকর সমালোচনা বা গুজবের শিকার হয়ে থাকেন। কর্মক্ষেত্রে বা দৈনন্দিন জীবনে দলবাজি, ধূর্ত রাজনীতির জেরে অপপ্রচারের শিকার হলে কি অভিষেকের পরামর্শ মেনে পাল্টা প্রতিবাদ করবেন? না কি পাত্তা না দিয়ে নিজের কাজে মন দেওয়া উচিত হবে? মনো-সমাজকর্মী মোহিত রণদীপ বলছেন, ‘‘গুজব বা সমালোচনা বা অপপ্রচারের ধরন কী রকম, বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে তার উপর নির্ভর করবে।’’

Advertisement

মোহিত জানাচ্ছেন, কিছু গুজব বা অপপ্রচার এমন হয়, যা বেশি মাত্রায় ছড়ালে তার ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ক্ষতি আটকাতেই ভুল ভাঙানো জরুরি। কিন্তু যদি কেউ মনে করেন, গুজব, সমালোচনা বা অপপ্রচারে তাঁর কিছু আসবে যাবে না, তবে তা নিয়ে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া না দেওয়াই ভাল। কারণ, অনেক ক্ষেত্রে নীরবতাই অনেক কিছু বলে যায়। তবে মনোবিদ বলছেন, ‘‘অবশ্য সব ক্ষেত্রে নীরবতা কার্যকরী না-ও হতে পারে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement