Sidharth Malhotra Wellness Routine

সকালের রুটিনে এক নতুন কাজ জুড়েছে সিদ্ধার্থ মলহোত্রের! যা সারা দিন আরও ভাল রাখছে তাঁকে

১৩ বছর হল সিনেমাজগতে কাজ করছেন। সদ্য বাবা হয়েছেন। অথচ এখনও সেই প্রথম দিনের মতোই ঝকঝকে দেখায় তাঁকে। চেহারার বয়স বাড়েনি বরং গ্ল্যামার বেড়েছে। কোন জাদুবলে নিজেকে এমন ধরে রেখেছেন সিদ্ধার্থ?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:৩৩
Share:

সিদ্ধার্থ মলহোত্রের জীবন বদলে গিয়েছে একটি রুটিনে! ছবি : সংগৃহীত।

কবীর সুমন গেয়েছিলেন, ‘‘গান তুমি হও আমার মেয়ের ঘুমিয়ে থাকা মুখ/ তাকিয়ে থাকি, এটাও আমার বেঁচে থাকার সুখ’’। দেখা যাচ্ছে, সিদ্ধার্থ মলহোত্রের জীবনের মূল কথাও এখন তা-ই। তাঁর ভাল থাকার ডায়েট-জিম-ডিটক্স পানীয়ের রুটিনে এখন নতুন সংযোজন তাঁর মেয়ে। সম্প্রতি সে কথাই এক সাক্ষাৎকারে খোলাখুলি বলেছেন অভিনেতা।

Advertisement

সিদ্ধার্থ স্বঘোষিত ‘ফিটনেস ফ্রিক’! অর্থাৎ ফিট থাকার জন্য যে কোনও পরিশ্রম করতে, যে কোনও রুটিন মানতে রাজি। সিদ্ধার্থের চেহারাতেও তার প্রতিফলন দেখা যায়। নির্মেদ তো বটেই। পেশিগুলিও যে বেশ যত্ন নিয়ে তৈরি করা, তা দেখলেই বোঝা যায়। ১৩ বছর হল সিনেমাজগতে কাজ করছেন। সদ্য বাবা হয়েছেন। অথচ এখনও সেই প্রথম দিনের মতোই ঝকঝকে দেখায় তাঁকে। চেহারায় বয়সের ছাপ তো পড়েইনি, বরং গ্ল্যামার বেড়েছে। কোন জাদুবলে নিজেকে এমন ধরে রেখেছেন সিদ্ধার্থ? নিয়মানুবর্তিতা আর শৃঙ্খলার কথা বহু বার নিজের মুখেই বলেছেন নায়ক। সে তো বহু নায়কই বলে থাকেন। তাঁর ক্ষেত্রে নতুন কী? এক সাক্ষাৎকারে এমন প্রশ্নের জবাবে নিজের সকালের রুটিন জানিয়েছেন সিদ্ধার্থ। কারণ, মর্নিং শোজ় দ্য ডে— সকালটাই বাকি দিনের সুর বেঁধে দেয়।

সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন, ঘুম থেকে ওঠার পরে তাঁর সকাল শুরু হয় এক কাপ গরম জল খেয়ে। তবে সাধারণ গরম জল নয়। গরম জলে এক চামচ ঘি গুলে খান সিদ্ধার্থ। কেন? সিদ্ধার্থের ব্যখ্যা, ‘‘ঘিয়ে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। আমার পুষ্টিবিদ বলেন, সকালে ওই স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খেলে তা সারা দিনের খাওয়াদাওয়ার উপর একটা ভাল প্রভাব ফেলে। বিপাকের হার ভাল থাকে।’’ ঘি দেওয়া জল খাওয়ার পরে জিমে গিয়ে ঘণ্টা দুয়েক শরীরচর্চা বাঁধা সিদ্ধার্থের। তার পরে প্রাতরাশ। শরীরচর্চা আর প্রাতরাশের মাঝের সময়টাই বরাদ্দ রুটিনের নতুন সংযোজনের জন্য। সিদ্ধার্থ বলছেন, ‘‘সকালের ওই সময়টা আমার রাখা থাকে মেয়ের জন্য।’’

Advertisement

অভিনেতা জানাচ্ছেন, তিনি ওই সময়টায় মেয়ের সঙ্গে খেলেন, স্ত্রী কিয়ারা আডবাণীও কখনও কখনও থাকেন তাঁদের সঙ্গে। অভিনেতা বলছেন, ‘‘আমরা ওর সঙ্গে খেলি। আবার কখনও-সখনও নানা দিক থেকে মেয়ের ছবি তুলি। ওকে দেখতে দেখতে নিজেরা বলাবলি করি ওকে কার মতো দেখতে হচ্ছে। কখনও কিয়ারার মতো দেখতে লাগে। কখনও আমার মতো। আমরা ছবি তুলে জ়ুম করে দেখি। মুখের কোন বৈশিষ্ট্য কার সঙ্গে মিলছে। সত্যি বলতে কি, দিনের ওই সময়টা আমার মন ভাল করে দেয়। সারা দিন এখন আমি আগের থেকেও ভাল থাকি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement