Parenting tips

শৈশবে পাশে ছিলেন না শর্মিলা, হতাশায় ভুগতেন সইফ! বাবা-মায়েদের জন্য কী পরামর্শ সোহার?

সন্তানের বড় হওয়ার সময় বাবা-মায়েদের উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ। তার অভাবে সন্তান অবসাদের শিকার হতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৫ ১৪:২৯
Share:

(বাঁ দিক থেকে) সোহা আলি খান, শর্মিলা ঠাকুর এবং সইফ আলি খান। ছবি: সংগৃহীত।

কর্মরত বাবা-মায়ের কাছে সন্তানের জন্য সময় বের করা অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক সময়েই বিষয়টির গুরুত্ব বোঝা যায় না, যার প্রভাব পড়ে সন্তানের মনে। সম্প্রতি সন্তান প্রতিপালন প্রসঙ্গে মা শর্মিলা ঠাকুরকে নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী সোহা আলি খান।

Advertisement

সোহা জানিয়েছেন, তাঁরা যখন ছোট ছিলেন, তখন শর্মিলা অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। এমনও হয়েছে, যখন দিনের পর দিন পুত্র সইফ আলি খানের সঙ্গে শর্মিলার দেখা হয়নি। তখন সইফের মনখারাপ হত। তার পর হঠাৎ এক দিন সময় করে ছেলের সঙ্গে সময় কাটাতে আসতেন শর্মিলা। সোহার কথায়, ‘‘তখন আর কিছু করার থাকত না। কারণ তখন দাদা বলত, ‘আমার আর তোমাকে প্রয়োজন নেই’।’’ সোহার মতে, তখন কোনও মা-ও ভাবতে শুরু করেন যে, তা হলে আর বাড়ি এসে কী লাভ হল! এ রকম পরিস্থিতিতে সন্তানের সঙ্গে অভিভাবকের মনোমালিন্যও হতে পারে বলে মনে করেন সোহা।

উল্লেখ্য, শর্মিলা নিজে এক সময় জানিয়েছিলেন যে, তিনি দুটি শিফ্‌টে কাজ করতেন। এ রকমও হয়েছে, ছেলেমেয়ের জীবন থেকে অভিনয়ের জন্য তিনি প্রায় প্রায় ৬ বছর অনুপস্থিত ছিলেন। শর্মিলার কথায়, ‘‘আমি সম্পূর্ণ রূপে একজন নিয়োজিত মা হতে পারিনি। আমি ছিলাম না। কিন্তু তখন ওদের কাছে আমার স্বামী ছিলেন।’’

Advertisement

বলা যায়, মায়ের থেকেই শিক্ষা নিয়েছেন সোহা। তিনি জানিয়েছেন, কন্যা ইনায়ার থেকে দূরে থাকলে তাঁর কষ্ট হয়। শুটিংয়ের ব্যস্ততা থাকলেও সোহা চেষ্টা করেন সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বাড়ি ফিরতে। মেয়ে ঘুমোতে যাওয়ার আগে তার পাশে থাকার চেষ্টা করেন সোহা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘এক বার রাজস্থানে শুটিং করছিলাম। কিন্তু ওর ঘুমোতে যাওয়ার সময় পাশে থাকতে পারিনি বলে খুব কষ্ট অনুভব করছিলাম। কেঁদে ফেলেছিলাম।’’

সন্তান এবং অভিভাবক

পেরেন্টিং কনসালট্যান্টদের মতে, বড় হওয়ার সময়ে সুরক্ষিত থাকার বোধ সন্তানেরা তাদের বাবা-মায়ের থেকেই শেখে। কিন্তু বাবা-মায়েরা পাশে না থাকলে তাদের মনে ক্ষোভ এবং হতাশা তৈরি হয়। তার ফলে অল্প বয়সে অনেকেই অবসাদের শিকার হতে পারে। আবার দীর্ঘ বিরতির পর ক্ষতে একবারে মলম দিলে কোনও লাভ না-ও হতে পারে।

বাবা-মায়েদের কর্তব্য

সন্তানের পাশে প্রয়োজনে উপস্থিত না থাকার জন্য কেউ কেউ অনুশোচনায় দগ্ধ হতে পারেন। কিন্তু তা কোনও ব্যর্থতার পরিচায়ক নয়। কিন্তু অনুশোচনা যদি লজ্জাজনক পরিস্থিতি তৈরি করে, তা হলে সমস্যা শুরু হতে পারে। দীর্ঘ সময় সন্তানকে সময় না দিতে পারলে, নেপথ্য কারণ তার কাছে ব্যখ্যা করা উচিত। তাতে অনেক সময় সমস্যার সমাধান হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement