ঠাকুরবাড়ির ইলিশ রাঁধার সহজ প্রণালী। ছবি : সংগৃহীত।
ইলিশ তো যুগে যুগেই খাওয়া হয়ে আসছে বাংলায়। কিন্তু এ যুগে ইলিশ যে ভাবে খাওয়া হয়, সেযুগেও কি সেভাবেই খাওয়া হত? রান্নার ব্যাপারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জোড়াসাঁকোর বাড়ির হেঁশেলের নামডাক হয়েছিল সেই আমলেই। সেই হেঁশেল থেকেই তুলে আনা একটি ইলিশের রান্না রেঁধে ফেলতে পারেন বৃষ্টি-বাদলা আর নিম্নচাপের পূর্বাভাস থাকা সপ্তাহান্তে।
হাতে আর একটি দিন। সামনে শনি আর রবিবার। ভরা বর্ষায় ছুটির দুপুরে মাংস নয়, ইলিশ হবে নিশ্চিত। সেই উপলক্ষে বাড়িতেই পালন করুন ইলিশ উৎসব। ভাজা, তেল, সর্ষেভাপা তো খেয়েই থাকেন। তার বদলে নয় পরিবেশন করুন ঠাকুরবাড়ির ইলিশের ব্যাঞ্জন।
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ:
৪ টি ইলিশের টুকরো
৪টি মাঝারি মাপের পেঁয়াজ
২ গাট আদা
৬-৭ কোয়া রসুন
৫-৬ টি কাঁচা লঙ্কা
২ টেবিল চামচ টক দই
৩-৪ টেবিল চামচ ঘি
২-৩টি শুকনো লঙ্কা
১ চা চামচ চিনি
স্বাদমতো নুন
প্রণালী
মাছ ভাল ভাবে ধুয়ে নিন। তার পরে মিক্সিতে তিনটি পেঁয়াজ, আদা, রসুন, কাঁচা লঙ্কা এক সঙ্গে দিয়ে মিহি ভাবে বেটে নিন। একটি পেঁয়াজ সরু করে কেটে রাখুন।
দই, নুন এবং চিনি একসঙ্গে ফেটিয়ে নিয়ে রেখে দিন ঘণ্টা খানেক। বেটে নেওয়া মশলাও কিছুটা নিয়ে ইলিশের টুকরোগুলির গায়ে মাখিয়ে রাখুন অন্তত আধ ঘণ্টা।
কড়াইয়ে ঘি গরম করুন। তাতে কুচিয়ে রাখা পেঁয়াজ ভেজে বেরেস্তা বানিয়ে তুলে রাখুন। তার পরে ওই ঘিয়েই আগে থেকে ম্যারিনেট করা মাছ হালকা ভেজে তুলে নিন।
এ বার ঘিয়ে শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন। কয়েক সেকেন্ড রেখে দিয়ে দিন বাকি বেটে রাখা মশলা। কাঁচা গন্ধ চলে গেলে আঁচ কমিয়ে ওর মধ্যে দিয়ে দিন নুন চিনি মেশানো দই। নাড়তে থাকুন, যাতে দই ফেটে না যায়। তেল ছেড়ে এলে দিয়ে দিন আগে থেকে ভেজে রাখা মাছ।
মশলার সঙ্গে মাছের টুকরো গুলো মাখিয়ে নিয়ে চাপা দিয়ে রান্না করুন কিছু ক্ষণ। নুন মিষ্টি পরখ করে নিন। তার পরে উপরে বেরেস্তা ছড়িয়ে আঁচ বন্ধ করুন।