প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পোষ্যদের প্রতি নজর না রাখলেই তারা দুষ্টুমি করতে পারে। অনেক সময়ে অসাবধানতাবশত তারা নানা সমস্যার শিকার হতে পারে। য়েমন সমীক্ষা বলছে, প্রত্যেক বছর পোষ্যদের গলায় কোনও অবাঞ্ছিত বস্তু আটকে যাওয়ার ঘটনা দেখা যায়, যা কখনও তাদের জন্য প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে।
কোন পোষ্যদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি
কুকুর বা বিড়ালের সামনে কিছু থাকলে, তারা সেটিকে মুখে নেওয়ার চেষ্টা করে। দাঁতে ক্যালশিয়ামের অভাব মেটাতে বহু পোষ্যের মধ্যেই চিবোনোর প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। পশুরোগ চিকিৎসকদের মতে, পোষ্যের মুখ যত বড় হয়, তারা সেই মতো জিনিস মুখের মধ্যে কামড়ে ধরার চেষ্টা করে। তার ফলে কখনও কখনও তা গলায় আটকে যেতে পারে।
কী কী থেকে সমস্যা
কুকুর অনেক সময়ে কোনও জিনিস চিবোতে চিবোতে গিলেও ফেলে। গলায় কোনও অবাঞ্ছিত বস্তু (কাঠের টুকরো, বল, খেলার হাড়, ডালপালা ইত্যাদি) আটকে গিলে বিপত্তি হতে পারে। বিড়ালের বয়স কম হলে, তাদের গলাতেও কোনও কিছু আটকে যেতে পারে। পোষ্যের বয়স কম হলে এই ধরনের ঘটনা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। বড় কুকুরের ক্ষেত্রে দম বন্ধ হয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হতে পারে।
কী কী করণীয়
১) প্রথমত, বাড়িতে থাকলে পোষ্যকে সব সময়েই নজরে রাখা উচিত। তা হলে সে কী নিয়ে খেলছে বা কী খাচ্ছে, তা সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি হবে।
২) বাড়িতে ডাস্টবিন খোলা রাখা উচিত নয়। অনেক সময়েই সেখান থেকে উচ্ছিষ্ট মুখে করে নিয়ে খেলতে চায় পোষ্যেরা।
৩) খেয়াল রাখতে হবে, পোষ্যের খেলার বল যেন তার চোয়ালের থেকে বড় হয়। খেলার জন্য হাড় বা অন্য কোনও খেলনার আকৃতি যেন বড় হয়। তা হলে সেটি পোষ্যের গলায় আটকানোর ঝুঁকি কমবে।
৪) পোষ্যের ‘চিউইং টয়’-এর দৈর্ঘ্য কমে এলে বা তা বেশি ক্ষয়ে গেলে বদলে ফেলা উচিত। অন্যথায় পোষ্যেরা তা গিলে ফেলার চেষ্টা করে।
৫) পোষ্যের গলায় যাতে কোনও কিছু আটকে না যায়, বাড়িতে সেই পরিবেশ আগে থেকে তৈরি করা থাকলে সমস্যা হবে না। তবুও এই ধরনের ঘটনায়, তৎক্ষণাৎ কোনও পশুরোগ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।