প্রতীকী চিত্র। ছবি: এআই।
পড়াশোনা সন্তানের ভবিষ্যৎ তৈরিতে সাহায্য করে। কিন্তু সে যাতে ভাল শিক্ষা পায়, তার জন্য বাবা-মাকেই দায়িত্ব পালন করতে হয়। বর্তমান সময়ে ছোটদের চারপাশে একাধিক সমস্যা ঘিরে থাকে। যার মধ্যে অন্যতম মোবাইল এবং টিভি। বাড়িতে সন্তানের পড়ার জায়গাটি যদি শান্তিপূর্ণ না হয়, তা হলে তার কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অধরাই থেকে যেতে পারে। মনোবিদরা জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসে ছাত্রদের পক্ষে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করা সহজ হয়। কিন্তু অনেক সময়েই বিষয়টা আমরা এড়িয়ে যাই।
কী কী বিষয় খেয়াল রাখা উচিত
১) সব বাড়িতে আলাদা পড়ার ঘর না-ও থাকতে পারে। এ বার সব সময়েই যে সন্তানের পড়ার টেবিলটি ঘরের কোণে রাখতে হবে, তা-ও নয়। ঘরের কোণে বসে পড়লে অনেকেই একাকিত্বে ভুগতে পারে। পরিবর্তে জানলার সামনে পড়ার টেবিল রাখা যেতে পারে।
২) নিস্তদ্ধতা সব সময়ে একাগ্রতা বৃদ্ধিতে সাহায্য না-ও করতে পারে। অনেকে বেশি ক্ষণ নিরিবিলি জায়গায় বসে থাকতে পছন্দ করে না। সে ক্ষেত্রে পড়ার জায়গায় সঙ্গীতের সুর কাজে আসতে পারে। এই ধরনের পরিবেশ শিশুদের মস্তিষ্কের উপরেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে পড়াশোনায় মন দ্রুত মন বসে।
৩) শিশুরা পড়ার জায়গা অগছালো রাখবেই। তার জন্য তাদের বকুনি দিয়ে লাভ নেই। বরং তার পছন্দের একটি গল্পের বই, কোনও পোস্টার বা কোনও ক্যালেন্ডার সেখানে রাখা যেতে পারে। সন্তানের সঙ্গে জিনিসগুলির আত্মিক যোগ তৈরি হলে, সে নিজেই পড়ার জায়গা নিয়মিত গুছিয়ে রাখবে।
৪) ঘুম থেকে ওঠা এবং ঘুমোতে যাওয়ার সঙ্গে দিন-রাতের সম্পর্ক রয়েছে। তাই সকালে বা সন্ধ্যায় পড়াশোনার সময়ে আলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘরে যাতে আলো-বাতাস প্রবেশ করে, সে দিকে খেয়াল রাখা উচিত। অন্য দিকে, রাতে হালকা কোনও আলো যুক্ত ঘরে সন্তানের পড়াশোনার পড়াশোনার করা উচিত।
৫) চেয়ার যদি ভাল না হয়, তা হলে সন্তানের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। দীর্ঘ ক্ষণ চেয়ারে বসে ঘাড়, পিঠ ও কোমরে যন্ত্রণা হতে পারে। তাই একটি উপযুক্ত চেয়ার নির্বাচন করতে হবে।