প্রতীকী চিত্র। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
ছোটদের মধ্যে সকলেই খোলা মনে মেলামেশা করতে পারে না। অল্প বয়সেই মনের মধ্যে কোনও কারণে ভীতি বা উদ্বেগের জন্ম হতে পারে। সঠিক সময়ে তা শনাক্ত করা না হলে, শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে পারে। কিন্তু যে সব শিশু মনের কথা ব্যক্ত করতে পারে না, তারা উদ্বেগের কথাও অভিভাবকদের জানাতে পারে না। এ ক্ষেত্রে বাবা-মায়েদের ৫টি লক্ষণ জেনে রাখা উচিত।
১) সন্তান কৌতূহলী হতেই পারে। কিন্তু সে যদি বার বার প্রশ্ন করতে থাকে, তা হলে তার নেপথ্যে উদ্বেগ থাকতে পারে। মন অস্থির থাকলে ছোটরা বেশি প্রশ্ন করে। তারা কারও বিরক্তি বা রাগের কারণ হয়ে উঠছে কি না, তা জানতে চায়।
কী করণীয়: এই রকম পরিস্থিতিতে সন্তানের সঙ্গে ঠান্ডা মাথায় কথা বলা উচিত। তাদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করা উচিত। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা ডায়েরি লেখার অভ্যাস তৈরি করলে ছোটদের উদ্বেগ কমতে পারে।
২) ছোটরা যদি সর্বক্ষণ মনোযোগী হয়, তা-ও উদ্বেগের কারণ হতে পারে। খেলাধুলো থেকে শুরু করে পড়াশোনা— বুঝতে হবে সবটাই হয়তো সে কোনও অবদমিত ভয়ের কারণে করছে। সামান্য কোনও ভুলের ফলে শাস্তির ভয়েও তারা করতে পারে।
কী করণীয়: অবিলম্বে বাড়ির পরিবেশ অনুকূল তৈরির চেষ্টা করা উচিত। ছোটদের সমালোচনা করা উচিত নয়। পরিবর্তে তাদের সমস্যা বুঝে অনুপ্রেরণার কারণ হয়ে ওঠা উচিত।
৩) শারীরিক অসুস্থতা: শিশু যদি ঘন ঘন অসুস্থ হয় বা মাথাব্যথা, ক্লান্তির কথা জানায়, সে ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া উচিত। কারণ অনেক সময়ে ছোটরা শারীরিক সমস্যা বা কোনও অনীহার মাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারে।
কী করণীয়: সন্তানের শারীরিক সমস্যার প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত। খোলা মনে তার সমস্যার কথা জানতে চাওয়া উচিত। তার ফলে তার উদ্বেগের কারণও স্পষ্ট হবে।
৪) নীরবতা: সন্তান যদি হঠাৎ করে নীরব হয়ে যায় বা সামাজিক মেলামেশা বন্ধ করে দেয়, তা হলেও সাবধান হওয়া উচিত। অনেক সময়ে কোনও অজানা ভীতির কারণে তারা এই ধরনের আচরণ করতে পারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ছোটরা স্কুল যাওয়ার ক্ষেত্রেও অনীহা প্রকাশ করতে পারে।
কী করণীয়: সামাজিক মেলামেশা বা স্কুলের ক্ষেত্রে জোর না করে, ছোটদের সময় দেওয়া উচিত। তাদের ভরসার কারণ হয়ে ওঠা উচিত। সন্তান যদি বুঝতে পারে অভিভাবকেরা তাদের পাশে আছে, তা হলে সময়ের সঙ্গে তারাও উদ্বেগ কাটিয়ে উঠতে পারবে।
৫) অপর্যাপ্ত ঘুম: সন্তান যদি ঘন ঘন দুঃস্বপ্নের কথা জানায় বা রাতে ঘুমোতে না পারে, তা হলে তার নেপথ্যে কোনও ভীতি বা উদ্বেগ কাজ করতে পারে।
কী করণীয়: সন্তান যেন সঠিক সময়ে ঘুমোতে যায় এবং ঘুম থেকে ওঠে তা নিশ্চিত করতে হবে। তার জন্য শোওয়ার ঘরে ঘুমের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা উচিত। শোওয়ার আগে গল্প পড়ে শোনালে বা বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গীত শুনলে মনের উদ্বেগ দূর হতে পারে। ফলে তাদের দ্রুত ঘুম আসবে।