Handwriting Practice

লিখতে গেলেই জড়িয়ে যায় অক্ষর, সন্তানের হাতের লেখা ভাল করার কিছু কৌশল জেনে নিন মায়েরা

সুন্দর হাতের লেখা বা যাকে বলে ‘মুক্তোর মতো’ লেখা, তা সকলের হয় না। তবে চেষ্টা করতে ক্ষতি নেই। ছোট থেকেই যদি সঠিক ভাবে অভ্যাস করানো যায়, তা হলে লেখা হবে ঝরঝরে, স্পষ্ট ও পরিচ্ছন্ন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৫ ১৫:৪৫
Share:

শিশু হাতের লেখা সুন্দর করার কিছু উপায় জেনে রাখুন মায়েরা। ছবি: ফ্রিপিক।

ছোট হাতের, বড় হাতের অক্ষর প্রায় গুলিয়ে ফেলে শিশু। লিখতে গেলেই জড়িয়ে পাকিয়ে যায় অক্ষর। পরীক্ষার সময়ে এমন জগাখিচুড়ি লেখা দেখতেই চান না শিক্ষক। তাতে নম্বরও কম আসে। এমনিতেও ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় অমনোযোগিতা নিয়ে বাবা-মায়েদের অভিযোগের শেষ নেই। তার উপর হাতের লেখাও যদি খারাপ হয়, তা হলে তো কথাই নেই। সুন্দর হাতের লেখা বা যাকে বলে ‘মুক্তোর মতো’ লেখা, তা সকলের হয় না। তবে চেষ্টা করতে ক্ষতি নেই। ছোট থেকেই যদি সঠিক ভাবে অভ্যাস করানো যায়, তা হলে লেখা হবে ঝরঝরে, স্পষ্ট ও পরিচ্ছন্ন।

Advertisement

সুন্দর হাতের লেখা শেখানোর উপায়

ভাষার মতোই লেখারও ছন্দ আছে। অক্ষরছন্দ। সেই ছন্দে হাতের লেখাকে বাঁধতে গেলে শুরু করতে হবে প্রথম থেকেই। শিশু যখন প্রথম অক্ষর লেখা শুরু করবে, তখন থেকেই বাংলা স্বরবর্ণ বা ব্যঞ্জনবর্ণ হোক অথবা ইংরেজি অক্ষর, সবই স্পষ্ট করে লেখা শেখাতে হবে। অনেকে নিজেই হয়তো অক্ষরগুলি পেঁচিয়ে, বিকৃত করে লেখেন। স্বাভাবিক ভাবে বাড়ির ছোট্টটিকেও শেখান সে ভাবেই। তাই ভুলভ্রান্তি এড়াতে নিজে আগে অক্ষর ভাল করে দেখে, জেনে তার পরে শেখান।

Advertisement

শিশু যখন স্কুলে গিয়ে শব্দ লেখা শিখবে, তখন একটি শব্দের প্রতিটি অক্ষরই যেন স্পষ্ট হয়, তা শেখাতে হবে। বাংলা শব্দ মাত্রা দিয়ে লেখা, ইংরেজি হলে প্রতিটি অ্যালফাবেট পর পর জুড়ে শব্দ লেখার সময়ে খেয়াল রাখতে হবে অক্ষর যেন বিকৃত না হয়ে যায়। অনেক সময়েই শিশুরা ছোট হাতের ও বড় হাতের অক্ষর গুলিয়ে ফেলে, সেগুলি যত্ন সহকারে বসিয়ে লেখাতে হবে।

ইংরেজির জন্য শুরুর দিকে ফোর লাইনার পাতাই যথেষ্ট। হাতের লেখা ভাল হতে শুরু করলে তার পরে সিঙ্গল রুলড পেপার এবং পরে একেবারে সাদা পাতায় লেখার অভ্যাস করতে হবে।

লেখার সময়ে লাইন যেন সোজা ও এক সরলেখায় হয়, তা দেখতে হবে। হাতের লেখা সুন্দর করার সেটিও একটি কৌশল। একটি গোটা লাইন লেখার সময়ে, তার অক্ষরগুলি এলোমেলো থাকলে ও লাইন এঁকেবেঁকে চললে, লেখা দেখতে খুবই অপরিচ্ছন্ন ও খারাপ লাগবে। তাই লেখার সময়ে প্রতিটি অক্ষর যেন সমান মাপের হয় ও লাইন সোজা থাকে, তা খেয়াল রাখতে হবে। দরকারে মার্জিন ধরে লেখার অভ্যাস করাতে হবে।

সাদা পাতায় দু’টি শব্দের মাঝে এবং দু’টি লাইনের মাঝে পর্যাপ্ত ফাঁক রেখে লিখলে অপটু হাতের লেখাও পাঠযোগ্য হয়। এই ফাঁকটুকু কী ভাবে রাখতে হবে ও কতটা, তা শেখাতে হবে শিশুকে।

পেনসিল ও পেন ধরাও শিখতে হবে। শিসের ডগা থেকে অন্তত দেড়-দু’ইঞ্চি দূরে পেনসিল বা পেন ধরা জরুরি। এতে লেখা ভাল হবে।

আট-ন’বছর বয়স পর্যন্ত পেনসিলে লেখা দরকার। এর পরে এগোনো যেতে পারে পেনের দিকে। তবে অনেক স্কুলে পেনের ব্যবহার পরেও শুরু হয়। তাই পেনসিল থেকে পেন ব্যবহার করার সময়ে ফাউন্টেন পেনের ব্যবহারই শুরুতে হওয়া উচিত, পরে জেল বা বল পেন।

প্রতি দিন নিয়ম করে বাংলা ও ইংরেজি হাতের লেখা অভ্যাস করাতে হবে। অন্তত দু’পাতা করেও লিখতে দিন শিশুকে। ছুটির দিনে আরও বেশি। ভাল হয়, পাঠ্য বই থেকেই পাতা ধরে লিখতে দিলে। এতে পড়াও হয়ে যায় ও লেখার অভ্যাসও তৈরি হয়। এই অভ্যাস থাকলে পরীক্ষার সময়েও দ্রুত লিখতে সুবিধা হবে শিশুর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement