জন ও প্রিয়ার সুখী দাম্পত্য। ছবি: সংগৃহীত।
সাদামাঠা জীবন, সুখী দাম্পত্য। বলিউড অভিনেতা জন আব্রাহামের বৈবাহিক সাফল্যের মূলমন্ত্র খানিক এমনই। বলিউডের ঝলমলে দুনিয়ায় যেখানে তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন প্রায়ই বিতর্কের শিরোনামে আসে, সেখানে জন যেন ব্যতিক্রমী। এক দশকেরও বেশি হয়ে গেল সংসার পেতেছেন নায়ক। এই গোটা সময়ে ব্যক্তিগত জীবনকে ক্যামেরা, আলো ও রটনার থেকে দূরে রেখেছেন। আর সেই কারণেই স্ত্রী প্রিয়া রুঞ্চালের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্য জীবন যেন নিঃশব্দে, ধীর গতিতে, ছন্দে এগিয়ে চলেছে। অপ্রয়োজনীয় কোলাহল নেই সেখানে।
২০১০ সালে জিমে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা প্রিয়া রাঞ্চলের সঙ্গে আলাপ বলি তারকার। ২০১৪ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। ১১ বছরের বেশি বয়স তাঁদের দাম্পত্যের। জন বা প্রিয়াকে নিয়ে কোনও গল্পগুজব, রটনা নেই এখনও পর্যন্ত। কোন মন্ত্রে নিজের দাম্পত্য থেকে নাটকীয়তাকে দূরে রেখেছন জন?
জন আব্রাহামের বৈবাহিক সাফল্যের মূলমন্ত্র। ছবি: সংগৃহীত।
১. জনের জীবনযাপন যে নিয়মমাফিক, তা বলিউডপ্রেমীরা জানেন। রাত ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে তিনি ভোর ৪টে বা সাড়ে ৪টের মধ্যে উঠেও পড়েন। দিন শুরু হয় বিশ্বের খবর পড়ে। পার্টি করা, ক্লাবে যাওয়া, উচ্চস্বরে গান শোনা, রাত জাগা, এ সবের বালাই নেই জনের জীবনে। কেবল বিয়ের পরে নয়, বিয়ের আগে নিজেকে এ সব প্রলোভন থেকে দূরে রেখেছিলেন।
২. স্ত্রী প্রিয়াও বিতর্কের বাইরে থাকতে পছন্দ করেন। আর তার জন্য সমাজমাধ্যমে বা রেড-কার্পেটে দেখা দেন কম। আর এই মিলই হয়তো তাঁদের সম্পর্কের অন্যতম শক্তি। দু’জনেই ব্যক্তিগত পরিসরে কারও প্রবেশ পছন্দ করেন না।
৩. জন বিশ্বাস করেন, স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন জোরদার করতে হলে একে অপরকে সম্মান করতে হবে। ব্যক্তিগত পরিসরকে মান্যতা দিতে হবে। একে অপরের পেশা ও চাওয়া-পাওয়াকে সম্মান দিতে হবে।
৪. এর আগেও এক বার জন তাঁদের সুখী দাম্পত্যের জন্য স্ত্রীকে কৃতিত্ব দিয়েছিলেন। জন মনে করেন, তাঁর মধ্যে অনেক খুঁত রয়েছে, কিন্তু প্রিয়া সম্পর্কে ভারসাম্য এনেছেন। অর্থাৎ স্ত্রীর সম্মান বজায় রাখার বিষয়েও অত্যন্ত দায়িত্ববান তিনি।
জন ও প্রিয়ায় যাপন প্রমাণ করে দিল, গ্ল্যামারের দুনিয়ায় থেকেও আলোড়নহীন, স্থিতিশীল জীবন কাটানো যায়। সাধারণ জীবনই সুখের চাবিকাঠি।