নিমেষেই ভাল হবে শিশুর মন, সহজ কিছু কৌশল জেনে নিন। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
ছোটদের মানসিক সমস্যা জটিল হচ্ছে দিনে দিনে, যার তল পাওয়া কঠিন। শিশুর আচরণগত সমস্যা এখনকার মা-বাবাদের কাছে খুব পরিচিত। নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া, আত্মবিশ্বাসের অভাব, ভয়, অত্যধিক রাগ— এমন নানা অনুভূতির প্রকাশ ঘটে প্রায়ই। অনেক বাবা-মায়ের অভিযোগ, শিশু স্কুল থেকে ফিরে একা বসে থাকে। মনখারাপ করে থাকে। জিজ্ঞাসা করলে অনেক সময়ে উত্তরও পাওয়া যায় না। বয়ঃসন্ধির ছেলেমেয়ে হলে বাবা-মাকে বলতেও চায় না। আবার জোর করে জানতে চাইলে বা বকাবকি করলে শিশু আরও অস্থির হয়ে ওঠে। এমন সমস্যা হতে থাকলে বাবা-মায়েরা কী করবেন? কী ভাবে সন্তানের মন ভাল রাখবেন?
শিশুকেই বলতে দিন
সন্তানের মন কেন খারাপ বা তার সঙ্গে কী ঘটেছে, শুরুতেই এমন প্রশ্ন করবেন না। মনোবিদ অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়ের মতে, বাবা-মায়েরা বেশি কৌতুহল প্রকাশ করলে ছোটরা আরও আরষ্ঠ হয়ে যেতে পারে। তাই জিজ্ঞাসা করুন, তার দিন কেমন গিয়েছে, স্কুলে কী কী ভাল ঘটনা ঘটেছে, খারাপই বা কী ঘটেছে। এতে তারা নিজেরাই উত্তর দেবে। শুধু ধৈর্য ধরে সময় দিতে হবে।
ঘরের কাজ করতে দিন
মন খারাপ থাকলে ওই সময়ে যদি শিশুকে জেরা করতে থাকেন, তা হলে হিতে বিপরীত হবে। বরং তাকে ধাতস্থ হওয়ার সময় দিন। সেই সময়টাতে ওকে বাড়ির ছোটখাটো কাজ করতে দিন। মনোযোগ অন্য দিকে ঘোরাতে ঘর গোছাতে বলুন বা গাছে জল দিতে বলুন। সন্তানকে সঙ্গে নিয়েই তার পছন্দের খাবার তৈরি করুন, তাকেও ছোটখাটো দায়িত্ব দিন। এতে সেই সময়ের জন্য শিশুর মন অন্য দিকে থাকবে। উদ্বেগও কমবে।
গল্প শোনান
মুঠোফোন হাতে না দিয়ে গল্প শোনান। গল্পের বই পড়েও শোনাতে পারেন। শিশুকেও বই পড়ে শোনাতে বলুন, পারলে গল্পের কিছু অংশ অভিনয় করে দেখাতে বলুন। মনখারাপ থাকলে বা শিশু একা বোধ করলে তাকে সঙ্গ দিতে হবে। সেই সময়ে কোনও বকাবকি নয়, বরং ওর সঙ্গে মিশুন বন্ধুর মতো। তাতেই ভরসা পাবে এবং আত্মবিশ্বাসের জায়গাও তৈরি হবে।
প্রকৃতির সঙ্গ
মন ভাল করার জন্য প্রকৃতির মাঝে থাকা খুবই জরুরি। কাছেপিঠে পার্ক থাকলে সেখানে শিশুকে নিয়ে যান বা হাঁটতে বেরোন। ওই সময়ে নানা ধরনের প্রশ্ন করুন, কতগুলি পাখি দেখেছে সে, কোন রঙের ফুল ছিল, কী ফুল— এগুলি তার জানার পরিধি বিস্তার করে। প্রকৃতি সম্পর্কে আগ্রহও বাড়িয়ে তোলে এবং মনও ভাল রাখে।