— প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।
বাড়িতে অনেকেই অ্যাকোয়ারিয়ামে মাছ পুষতে পছন্দ করেন। লাল, নীল, সাদা— বিভিন্ন বর্ণের মাছ অ্যাকোয়ারিয়াম বা ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। তাই অ্যাকোরিয়াম যত্ন নিয়ে পরিষ্কার করা উচিত। অনেক সময়েই দেখা যায়, অ্যাকোয়ারিয়ামের কাচের গায়ে সময়ের সঙ্গে সাদা ছোপ পড়ে যায়। পরিষ্কার করার চেষ্টা করা হলেও সেই দাগ অনেক সময়েই রয়ে যায়।
কেন সাদা ছোপ?
অ্যাকোয়ারিয়ামে কী ধরনের জল ব্যবহার করা হচ্ছে, তার উপরে মাছেদের আয়ু এবং অবশ্যই অ্যাকোয়ারিয়ামের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নির্ভর করে। জলের মধ্যে ক্ষার এবং আয়রন থাকে। সময়ের সঙ্গে জলের মাত্রা নীচের দিকে নামতে শুরু করলে জলের মধ্যে অবস্থিত আয়রন এবং বিভিন্ন ক্ষার জাতীয় উপাদান কাচের গায়ে জমা হতে শুরু করে। ফলে অ্যাকোয়িরামের গায়ে সাদা লম্বা লম্বা দাগের সৃষ্টি হয়। এই দাগগুলি অ্যাকোয়ারিয়ামের সৌন্দর্যহানি ঘটাতে পারে। অনেক সময় ধারালো কোনও বস্তু দিয়ে দাগগুলি তোলার চেষ্টা করা হলে, অ্যাকোয়ারিয়ামের গায়ে আঁচড় পড়ে যায়। অথচ সহজেই এই দাগ তোলা সম্ভব।
পরিষ্কারের পদ্ধতি
১) অ্যাকোয়ারিয়াম খালি করার পর, প্রথমে কম ক্ষার যুক্ত সাবান দিয়ে কাচের ভিতরের অংশ পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে ছোবড়া ব্যবহার করা যায়।
২) তার পরেও দাগ না উঠলে ভিনিগারের সঙ্গে সমপরিমাণ জল মিশিয়ে নিয়ে তাতে ভেজানো কাপড় দিয়ে কাচের দাগগুলিকে ঘষতে হবে।
৩) দাগ যদি কঠিন হয়, সে ক্ষেত্রে ভিনিগার ব্যবহার করার পর স্থায়ী আঁচড় পড়বে না, এ রকম কোনও বস্তু দিয়ে দাগগুলিকে সামান্য চাপ দিয়ে ঘষে তুলে দেওয়া যেতে পারে।
সতর্কতা
১) অ্যাকোরিয়ামের কাচ পরিষ্কার রাখতে জলের ফিল্টারটি নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত।
২) অ্যাকোয়ারিয়ামে ব্যবহৃত জলের মধ্যে যদি ক্ষারের পরিমাণ বেশি থাকে, তা হলে ওয়াটার সফ্টনার ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩) মাছকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরিমাণে খেতে দেওয়া উচিত নয়। পাশাপাশি, অ্যাকোয়ারিয়ামের জলের বিভিন্ন গাছও নিয়মিত পরিষ্কার রাখা উচিত। এর ফলে জলে জীবাণুর পরিমাণ বাড়বে না।