ছবি : সংগৃহীত।
সন্তান বুদ্ধিদীপ্ত, আপনি জানেন। এ-ও জানেন সে চেষ্টা করলে ভাল করতে পারবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরীক্ষার নম্বরে তার প্রমাণ মেলে না। কেন? কারণ হতে পারে অমনোযোগ। বেড়ে ওঠার সময়ে নানা ধরনের অমনোযোগের কারণ মনের আনাচে কানাচে ঘোরাফেরা করতে থাকে অনেকেরই। সেই সমস্ত বাধা সরিয়ে পড়ায় মনসংযোগ করতে হলে কিছু বাড়তি চেষ্টা দরকারি। সন্তানের জন্য সেই ব্যবস্থাটুকু করে সাহায্য করতে পারেন আপনিও।
১। প্রথমেই একটি স্টাডি প্ল্যান বানিয়ে ফেলুন। এক একটি সপ্তাহের জন্য এক একটি লক্ষ্য স্থির করুন। এবং লক্ষ্য পূরণের জন্য কী ভাবে পড়াশোনা এগনো দরকার তারও পরিকল্পনা ছকে ফেলুন। সেই মতো এগোন।
২। সন্তানের পড়ার ঘরে বাইরের আওয়াজ যত কম আসে ততই ভাল। সেই সঙ্গে পড়ার ঘরে অনাবশ্যক আবর্জনা না রাখার চেষ্টা করুন। পড়ার ঘরটিতে যেন ঠিকমতো আলো থাকে, সে দিকেও খেয়াল রাখুন।
৩। টানা পড়লেই ভাল পড়া হচ্ছে এমন ভাবলে ভুল করবেন। বদলে প্রতি ৫০ মিনিট অন্তর ৫-১০ মিনিটের ছোট্ট ‘ব্রেক’ নিতে দিন ওকে। ওই সময় টিভি দেখা, মোবাইল দেখা বা খেলাধুলো করবে না। কিন্তু ছাদে বা বারান্দায় ঘুরে বেড়াতে পারে। বাইরের খোলা হাওয়া গায়ে লাগালে মন হালকা হবে।
৪। এখন ছোটদের হাতের কাছেও থাকে মোবাইল ফোন। তাতে মেসেজের টুংটাং শব্দ, ফোনের আওয়াজ সবই হতে থাকে। তাই ছেলে মেয়ের পড়ার সময় ফোন নাগালের বাইরে রাখুন। দরকার হলে ফোনের নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখুন।
৫। দিনে অন্তত দু’বার হালকা যোগব্যায়াম করতে উৎসাহ দিন। মাঠে খেলাধুলো করলে তো ভালই। তা না হলে বাড়িতেই ছাদে বা বারান্দায় সামান্য স্ট্রেচিং বা ব্যায়াম করলে মন ভাল থাকবে। মনসংযোগও বাড়বে।
৬। ঘুমে নজর দিন। সন্তান যেন প্রতি দিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যায় এবং অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোতে পারে সে দিকে খেয়াল রাখুন।
৭। পড়াশোনার ব্যাপারে নির্দিষ্ট করা লক্ষ্য সঠিক ভাবে পূরণ করতে পারলে সন্তানকে পুরষ্কৃত করুন। এতে তারা পড়াশোনায় উৎসাহ পাবে।